পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(॥/• ) মহাপ্রভুর যুগের সমলক্ষণাক্রান্ত যুগ দেখিতে পাওয়া যায়। নানক, কবীর, দাছ, রামানন্দ, আসামের শঙ্করদেব, উৎকলের জগন্নাথ দাস বা অচ্যুতানন দাস প্রভৃতি—এই জনসাধারণের যুগের প্রবর্তক। ধন্ম ও সাহিত্য এই উভয় বিভাগেই এই সমুদয় যুগধর্ম্ম প্রবর্তক নিজেদের প্রভাব বিস্তার করিয়াছেন এবং তাহারা ও তাহাদের অনুবর্তিগণ, জনসাধারণের ভাষায় সর্বসাধারণের জ্য, যুগবাণী প্রচার করিয়াছেন। আমাদের দেশে, নবযুগে॥ বা আধুনিক যুগে, রাজা রামমোহন রায়ের উদ্ভব ও ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠ৷ ৷ এই শ্রেণীর ঘটনা। নবীন বঙ্গসাহিত্যের প্রকৃতি আলোচনা করিবার সময় এই বিশেষ লক্ষণটি মনে রাখা আবশ্যক॥ রাজা রামমোহন রায়ের প্রভাব ব্রাহ্ম সমাজ নামক একটি সীমাবদ্ধ ধর্ম্মমণ্ডলীর মধ্য দিয়াই যে বিস্তার লাভ করিয়াছে, তাহা নহে –নানা দিক দিয়া সেই প্রভাব, নানা প্রকারে রূপান্তরিত। ও পরিপুষ্ট হইয়া, আমাদের সমগ্র সমাজ-জীবনে ক্রিয়া করিয়াছে এবং এখনও করিতেছে। নব্যবঙ্গের বা নব্যভারতের নব যুগ বলিতে যাহা বুঝায়, এবং বঙ্গ-সাহিত্যের যে গুলি বিশিষ্ট লক্ষণ, সেই লক্ষণ গুলি, রাজা রামমোহন। রায়ের সাধনার প্রত্যক্ষ ফল। রাজা রামমোহন রায়ের প্রভাবেই, মহর্ষি॥ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ভব এবং তত্ত্ববোধিনী-সভার প্রতিষ্ঠা। অক্ষসূকুমার। দত্ত মহাশয় মূলতঃ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের আনুগত্য করিয়া, তত্ত্ববোধিনী সভার প্রধান কর্মী হইয়াছিলেন। একদিকে অক্ষয়কুমার দত্তআর একদিকে তাহারই সম শামন্ত্রিক টেকচাং ঠাকুর বা প্যারীচাদ মিত্র—উভফ্রেই রাজা রামমোহন রায়ের প্রভাবের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইল্লাবঙ্গসাহিত্যের সেবা করিয়াছেন। অক্ষয়কুমার দত্ত ও প্যারীচাদ মিত্র “বঙ্গীয় সাহিত্যসাধনার এই দুইটা ধারা ব্যতীত, আর একটি ধারা উল্লেখযোগ্য। উহাকে আধুনিক হিন্দু