পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১০ ) জ্য, যেমন দুর্বোধ্য ব| অবোধ্য করিতেন এবং ভাবের দৈত্যসমাসবহুল ও অনুপ্রাস মুখরিত শব্দাড়ম্বরের দ্বারা লুক্কায়িত করিতেন, অক্ষয়কুমারের ভিতর তাহা ছিল না। তিনি শব্দের বন্ধা সৃষ্টি করিতে চাহেন নাই ভাবের দ্বারা ও তত্ত্বের দ্বারা দেশবাসীর হৃদয় মনের দ্যৈ দূর করিয়া, তাহা দিগকে সত্য মপে উন্নীত করিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু একেবারে জন সাধারণের ভূমিতে নামিয়া আসিতে পারেন নাই। সাহিত্যের রচনা-রীতি সম্বন্ধে অক্ষয়কুমারের অভিমত, তিনি র্তাহার ‘স্বপ্নদর্শন— কীর্ত্তিবিষয়ক’ প্রবন্ধে বর্ণন করিয়াছেন। মাঘ, ভারবী, ভবভূতি প্রভৃতি প্রাচীন কবিগণের সহিত বাল্মীকির তুলনা করিয়া তিনি বলিতেছেন “বৃদ্ধ বাল্মীকির ঘেরূপ স্বাভাবিক সরল ভাব ও অকৃত্রিম অনুপম শোভা, তাহাদের কাহারও সেরূপ নহে। তাহাদের উত্তম শোভা আছে, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু অনেকেরই শরীরের সৌন্দর্য অপেক্ষা বস্ত্রালঙ্কারের শোভা অধিক। কেহ কেহ আপন আপন পরিচ্ছদ, এ প্রকার কুটিল ও জটিল। করিয়া ফেলিয়াছেন যে, বহু যত্নে ও অনেক কষ্টে নিরীক্ষণ করিয়া না দেথিলে, তাহাদের যৎকিঞ্চিৎ যে স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য আছেতাহাও দৃষ্টি- গোচর হয় ন৷।” ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে Hindu Patriot কাগজে, অক্ষয়কুমার দত্তের ‘ধর্মনীতি’ গ্রন্থের যে ইংরাজী সমালোচনা বাহির হয় তাহাতে বলা হইয়াছে This, like other works of the author, is one of the best specimens of chaste Bengali writing, devoid of Sanskriti. cism for the sake of pedantry.” অর্থাৎকেবল পাণ্ডিত্য দেখাই বার জষ্ঠ্য ইহাতে সংস্কৃত শবের বহুল প্রয়োগ নাই – ইহাই মার্জিত বাঙ্গাল রচনার সর্বোত্তম নিদর্শন।