পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১\9• ) ভাবুকতা। এই ইইটি বৃত্তির মধ্যে দ্বন্দুও দেখিতে পাওয়া যায়। ইংরাজী। ভাষায় এই দুইটিকে যথাক্রমে Reason and Imagination বলা যায়। কোনও মানবের প্রকৃতিতে এই দুইটি বৃত্তি যদি সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্ত প্রাপ্ত। হয়, তাহা হইলে তাহাকে আমরা আদর্শ মানব বলিতে বাধ্য। কিন্তু এই প্রকারের পূর্ণাঙ্গ সামঞ্জস্ত বড়ই বিরল। অক্ষয় কুমারের প্রকৃতিতে এই উভয় প্রকারের উপাদানই যে বিশেষভাবে বিকশিত হইয়াছিল, তাহা তাহার গ্রন্থাবলী পাঠ করিলে অতি অনায়াসেই বুঝিতে পারা যায়। কিন্তু এই সামঞ্জ্য ছিল কি না, সে সম্বন্ধে আমরা কিছু বলিব না ' এবং বলিবার। সমযুও হয় নাই। পরবর্তী সময়ে অ!মাদের দেশে, আর এক প্রকারের চিন্তাপদ্ধতি জাগিয়া উঠিল॥ তখন সমালোচকেরা অক্ষয়কুমারের মতের নানারূপ সমালোচনা। করিতে লাগিলেন॥ কেহ বলিলেন – ‘অক্ষয়কুমার অনেক বিষয়ে উকীলের মত কার্য্য করিয়াছেন, ইংরাজী সাহিত্যে মেকলে জনসনের যে সমুদয় দোষ। দেখাইয়াছেন, কোন কোন সমালোচক তাহারই অনুবর্ত্তনে দেখাইয়া দিলেন যে অক্ষম্বকুমারেরও এই সমুদঙ্গ দোষ ছিল। অক্ষয়কুমার বলিয়া ছিলেন– হিন্দুর স্কৃতি ও দর্শন শাস্ত্র অসার এবং দার্শনিকগণ কেবল বিতণ্ডা করিয়াছেন॥ অক্ষয়কুমার পঞ্জিকা দেখিয়া দিনক্ষণ নিরূপণ করিয়া যাত্রা করাকে কুসংস্কার বলিয়া বিবেচনা করিতেন — বহু দেবদেবীর অস্তিত্বে প্তাহার বিশ্বাস ছিল না—ফলিত জ্যোতিষেও fশুনি। বিশ্বাস করিতেন না। অক্ষয়কুমার র্তাহার এই সমুদয় মনোভাব গোপন রাখেন নাই। তিনি চিন্তা করিয়া যাহা বুবিয়াছিলেন, নির্ভীক ভাবে অকপটে তাহা প্রচার করিয়াছিলেন॥ এই প্রকারের নির্ভীকতাঅনুসন্ধিৎসা ও অন্ধভাবে প্রচলিত মতকে মান্য ন। করা, বৈজ্ঞানিকের বিশেষ লক্ষণ। কিস্তু বৈজ্ঞানিকতার যুগ আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হইল না। নানা কারণে