পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৯ ) পরিবর্তন ও অগ্রবর্তিতাকে ভয়ের চক্ষে দেখেন, র্তাহাদের প্রাধান্ত বৈজ্ঞানি কতা প্রতিষ্ঠার অন্তরাত্ন। অক্ষয়কুমার দত্তের সাধনা, এই এক বিয়ের দ্বারা। আলাস্ত হইয়াছে। এই বিন্ধু কতদিনে দূরীভূত হইবে, তাহ বলা যায় না। পূর্বে কিছু সূক্ষ্মভাবে আমরা যে প্রতিক্রিয়ার কথা বলিলাম, একটি জ্বল উদাহরণ দ্বারা তাহা বর্ণন করিতেছি॥ অক্ষয়কুমার দত্তের গ্রন্থরচনার দ্বারায় দেশে সুশিক্ষা বিস্তারের একটি বিশেষ সুবিধা ছিল, তাহা আমাদের ভাবিয়া দেখা উচিত। তিনি স্কুল কলেজে বড় বড় অধ্যাপকের অধীনে বিজ্ঞানাদি শাস্ত্র বিশেষরূপে পাঠ করেন নাই। অল্পদিন মাত্র মেডিকেল কলেজে বিশেব ছাত্ররূপে উপস্থিত হইয়। কিছু কিছু শিক্ষা করিয়াছিলেন। নিজের চেষ্টায় এঝ . কিছু বেশী রকম পরিশ্রম করিয়া, এই বিষয় তাহাকে শিথিতে হইয়াছিল। কাযেই, আমাদের দেশের সাধারণ লোকের মনোবৃত্তি ও চিন্তা-পদ্ধতি যেরূপ, তাহাতে। তাহারা কি প্রকারে বৈজ্ঞানিক বিষয় সমূহ বাঙ্গালা গ্রন্থ পড়িষ্মা বুঝিতে পারে, নিজের অভিজ্ঞতার দ্বারা অক্ষদ্মকুমার তাহ৷ অতি উত্তমরূপে বুঝিয়াছিলেন। বিশ্ববিড়ালয়ে উচ্চশ্রেণীর বিজ্ঞানের আলোচনায় যশোলাভ করিয়া যদি তিনি বাঙ্গালায় বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ লিধিতেন, তাহা হইলে গ্রন্থগুলি আমাদের দেশের পাঠকগণের পক্ষে অধিকতর উপযোগী হইত কি ন৷ বিশেষ সন্দেহ। বৰ্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিক বিষয়ে যে সমুদয় বাঙ্গালা গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে তাহার অধিকাংশ গ্রন্থেই অক্ষয়কুমারের ভাষা ও বর্ণনা প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। কিন্তু আমরা কোন কোনও গ্রন্থে একটি বিশেষ দোষ বা ক্রটী লক্ষ্য করিয়াছি। অক্ষয়কুমারের রচনার সহিত তুলনা। করিয়া দেখিবেন, ওঁাহার রচনাত্ম এই দোষের লেশমাত্র নাই। বিজ্ঞানের কথা বলিতে গিয়া তাহা মনোরম করিবার জন্য আমরা এমন উৎকট কাব্য সৃষ্টি করিয়া বসি যে, সেই কাব্যের বৃহ ভেদ করিা প্রকৃত বিষয়ে উপস্থিত