পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৬ ) হইতে, পাঠককে বিশেষরূপ বেগ পাইতে হয় এবং অনেক সময়ে অসম্ভব। হইয়া পড়ে। পাঠকের চিত্তবৃত্তির সহিত লেখকের পরিচয় না থাকাতেই, এই প্রকারের অযথা কাব্য-সৃাষ্ট দ্বারা বৈজ্ঞানিক-রচন। অনেক সময়েই। নিস্ফল হইয়া যায়। অক্ষয়কুমারের রচনা এ বিষয়ে এখনও অন্ততঃপক্ষে বৈজ্ঞানিক বিষয়ে আদর্শ-রচনা। কিন্তু অক্ষয়কুমারের ‘পদার্থবিদাঅনেক দিন পাঠ্যপুস্তকের তালিকাভূক্ত ছিল না। তাহার পর যে গ্রন্থ পাঠ্যপুস্তক রূপে প্রচলিত হয়, সেই গ্রন্থ সম্বন্ধে ১২৮৭ সালের আষাঢ় মাসের বঙ্গদর্শনে “বঙ্গ বৈজ্ঞানিক ” নামক প্রবন্ধে বলা হইয়াছিল যে, এই নূতন গ্রন্থের গ্রন্থকার, অক্ষয়কুমারের গ্রন্থখানি উত্তমরূপে পড়িলে অনেক শ্রম হইতে রক্ষ। পাইতেন॥ অথচ, এই দ্বিতীয় পুস্তকথানি পাঠ্য পুস্তক হইয়া গেল!। প্রতিক্রিয়ার ইহা একটি স্কুল উদাহরণ। ( ৯ )। অক্ষয়কুমার দত্ত বঙ্গীয় সাহিতোর ও সমাজের যে স্তরের প্রতিনিধি, আমরা বহুদিন সেই স্তর অতিক্রম করিয়া চলিয়া আসিয়াছি। সেই স্তরের প্রভাব ও সাফল্য বহুল পরিমাণে লইয়া আসিয়াছি, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু বৰ্তমান সময়ে যে আমরা সে যুগ বা সে স্তর হইতে সকল বিষয়েই অনাবিল উন্নতি লাভ করিয়াছি, ইহা মনে করিবার সঙ্গত কারণ আছে। কি না সন্দেহ। বর্ত্তমান সময়ে সাহিত্যে যে যুগ চলিতেছে, আসন্ন ভবিষ্যতে তাহার একটি প্রতিক্রিয়া হইবার সম্ভাবনা এবং সেই প্রতিক্রিয়া আমাদিগকে দেখাইয়া দিবে যে, অক্ষদ্মকুমারের যুগে অনেক স্বাস্থ্যকর ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমরা অবহেলা করিয়া ফেলিয়া আসিয়াছি। কেবল একটী বিষয়ের দ্বারা এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করা যায়। মানবের জীবনে এবং সাহিত্যে একটা। অস্পষ্টতার যুগ আছে। সেই যুগে মানুষ