পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৬• ) ৯ ও ১০ ১২ ৯ এ এস এ ¢ £ প্রমাণের অভাব হইবে না। ফরাসী দার্শনিক কোৎ ( Comte ) মানবের ক্রমবিকাশের ইতিহাসে তিনটি স্তর বর্ণনা। করিয়াছেন। প্রথম যুগ অলৌকিকের দোহাই দিবার যুগ (The Theological Stage ); দ্বিতীয় যুগের নাম ‘দার্শনিকের বাথি তণ্ডার যুগ ( The Metaphysical Stage ), আর তৃতীয় যুগের নাম- &বদর্শন ও সুস্পষ্ট নির্ধারণের যুগ। (The Positivistic Stage )। রাজা রামমোহন রায়ের সাধনায় আমরা আমাদের জীবনে, সমাজে ও সাহিত্যে এই তৃতীয় যুগের উষালোক দেখিতে পাই। অক্ষয়কুমারের সময়ে, এই উষার আলোক আরও উজ্জ্বল ও বিস্তৃত হইয়াছে, ইহাতে সনেহ নাই। তাহার পর যে প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হইল, সেই প্রতিক্রিয়ার ফলে, এই আলোক যে নিৰ্বাপিত হইল তাহা নহে, তবে অনেক স্থলেই অসমক্সের কৃষ্ণমেঘ উদিত হইয়া, ঐ আলোকের স্বাস্থ্যকর। ক্রিয়ার বিঘ্ন উৎপাদন করিল। বাঙ্গানার নবযুগের সাহিত্যের আপোচনার এই একটি সিদ্ধান্ত নির্ভয়ে করা যাইতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, যদি কখনও বিজ্ঞানের। সহিত ধর্মের পূর্ণ সামঞ্জস্ত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, বৈজ্ঞানিকের সত্যের আলোক ব্যক্তির জীবনে, এমন কি, ধর্ম্ম, কাব্য ও কবিতায় ঘদি কখনও জয়যুক্ত হয়, তাহা হইলে অক্ষয়কুমারকে আমরা আরও ভালরূপে বুঝিতে পারিব। প্তাহার অবত্য মৌলিক দান কিছুই নাই। তিনি বিজ্ঞানরাজ্যের কোন নব-সত্যের উদ্ভাবক বা আবিষ্কর্তা নহেন। কিন্তু, আজ আমাদের বাঙ্গালা দেশের যে সমুদয়। বৈজ্ঞানিকের যশ:প্রভা সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তারিত হইয়া আমাদিগকে গৌরবান্বিত করিতেছে, সেই সমুদয় বৈজ্ঞানিকগণের উদ্ভব যে সম্ভব হইয়াছে। তাহার মূলে অক্ষয় কুমারের সাধনা সুস্পষ্ট রূপে দেদীপ্যমান। অক্ষয়কুমারকে থৱ করিবার জন্য যাহারা দেখাইয়াছেন—তিনি দেবতা মানিতেন না, হাচি টিকটিকি দিশূল মানিতেন না, স্থতিশাস্ত্রের নিন্দা করিতেন, তাহারা, যে