পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 0• ) মাধুর্য ক্রমে ক্রমে প্রকটিত হইতেছে। সাহিত্যের রচনা-রীতির এই ক্রমবিকাশের প্রতি শিক্ষার্থিগণের মনোযোগ বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট হওয়া আবশ্যক। কোন সাহিত্যিকের রচনা-রীতি বুঝিলে, তাঁহার মানসিক প্রকৃতিও বুঝিতে পারা যায়—রচনা-রীতির মধ্যে সাহিত্যশিল্পীর ব্যক্তিত্ব প্রচ্ছন্ন থাকে। Style বা রচনা-রীতি বর্ত্তমান সময়ে, এই সমুদয় প্রণালীর অনুবর্ত্তনে আলোচিত হইতেছে। এই আলোচনা বড়ই শিক্ষাপ্রদ ও হিতকারী। এই দুইটি প্রণালী বা পদ্ধতিকে ঐতিহাসিক Historical এবং মনোবিজ্ঞান মূলক Psychological পদ্ধতি বলে। বাঙ্গালাভাষা ও সাহিত‍্য, এখন আর কেবল মাত্র সুকুমারমতি বালক বালিকার পাঠ্য নহে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতম শ্রেণীতে পর্য্যন্ত ইহার পঠন-পাঠন চলিতেছে। সুতরাং পূর্ব্বোক্ত পদ্ধতি অনুসারে বাঙ্গলা গদ‍্য-সাহিত্যের রচনা রীতির ক্রমবিকাশ আলোচনা করা দরকার। এই নিমিত্ত, ‘অক্ষয় কুমার দত্ত ও বঙ্গ সাহিত‍্য‍'-প্রবন্ধে, অক্ষয় কুমারের গদ‍্য রচনা-রীতির আলোচনা-প্রসঙ্গে, সাধারণ ভাবে বাঙ্গলা গদ‍্য রচনা-রীতি বা রচনা-ভঙ্গির কিছু বিশদরূপে আলোচনা করিয়াছি। এই প্রবন্ধে, সাধারণভাবে বাঙ্গালা গদ্য রচনা-ভঙ্গি বিষয়ের কতকগুলি মূল-সূত্রের আলোচনা করা হইয়াছে। এই পর্যায়ের পর পর গ্রন্থাবলীর ভূমিকা পাঠ করিলে, পাঠকগণ অনায়াসেই, রাজা রামমোহন রায়ের সময় হইতে প্রায় বর্তমান কাল পর্যন্ত বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্য ও রচনা-ভঙ্গির ক্রমবিকাশের একটি সুস্পষ্ট ধারাপাত লক্ষ্য করিতে পারিবেন। বলা বাহুল্য, এই ক্রমবিকাশের ধারা পরিস্ফুট করিবার উদ্দেশেই, ‘গদ‍্য-সুধা-গ্রন্থাবলীর’ আদর্শ-রচনাগুলি সংগৃহীত হইয়াছে। এই সুযোগে, প্রত্যেক আদর্শ গ্রন্থকারের সাহিত্য-সাধনার বৈশিষ্ট্য যাহাতে সহজেই সকলের হৃদয়ঙ্গম হয়, তদ্বিষয়ে নিয়ত সতর্ক লক্ষ্য রাখিয়াছি। কলিকাতা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের দূরদর্শী কর্ত্তৃপক্ষগণ, এই পর্য্যায়ভুক্ত ‘সাগর-সুধা'