পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ অক্ষয়-সুধা এলএনৰ সুথোৎপাদক, এমন নহে; কর্ম্ম করিবার সময়েও বিশুদ্ধ সুখ সমুদ্ভাবন করে। অঙ্গ-সঞ্চালনের সঙ্গে সঙ্গে স্ক ডিলাভ ও হর্যোদয় হইয়া থাকে। শরীর চালনায় যে কিরূপ দুর্লভ সুথের উৎপত্তি হয়, শারীরিক অমে তাহ| শিশুগণ বিশিষ্টরূপে অনুভব করিয়া থাকে। সতস্থ তাহারা মুহূর্ত্তমাত্রও স্থির থাকিতে ভালবাসে না; গমন, ধাবন, কুর্দিন করিতে পারিলেই, তাহারা আহলাদে পরিপূর্ণ হয়। যাহারা প্রতি দিবস ৭/৮ সাত আট ঘণ্টা নিয়মিত পরিশ্রম করিয়া থাকেন, বিনা পরিশ্রমে এক দিবস ক্ষেপণ করাও ঊাহাদের পক্ষে সুকঠিন বোধ হয়। শরীর সঞ্চালন না করিলে, পীড়িত হইয়াক্লেশ ভোগ করিতে হয়। যাহারা এরূপ ব্যবসংস্ অবলম্বন করিয়াছেন যে, তাহাতে অঙ্গসঞ্চালনের আবশ্যকতা নাই, সুপণ্ডিত চিকিৎসকেরা তাহাদিগকে ব্যায়াম অথবা অ্যবিধ অঙ্গচালন করিতে পরামর্শ প্রদান করিয়া থাকেন। শরীরের ন্যায় মনেরও চালনা করা আবশ্যক; নতুবা মনোবৃত্তি সমুদায়। ক্রমে ক্রমে নিস্তেজ হইতে থাকে; সুতরাং তেজস্বিনী মনোবৃত্তি-পরিচালন দ্বারা যে প্রকার প্রগাঢ় সুথের উৎপত্তি হয়তাহাতে মানসিক শ্রমের বঞ্চিত হইতে হয়। আমাদের প্রত্যেক অঙ্গ ও প্রত্যেক মনোবৃত্তি সুথ-সলিলের এক একটি পবিত্র। প্রস্রবণ স্বরূপ। তাহাদিগকে যথাবিধানে চালন করিয়া যত সতেজ। করা যায় ততই প্রবল সুথধারা উৎপাদিত হইতে থাকে। অতএব পরিশ্রম। যে আবর্তক ও বিধেয়, তাহা আমাদের প্রকৃতিপটে সুস্পষ্ট। লিখিত রহিয়াছে। কেহ কেহ শারীরিক কর্ম্মকে নিননীয় কর্ম্ম বলিয়া উল্লেখ করেন। লোকের কেমন বিপরীত বুদ্ধি, তাহারা লোকযাত্রা নির্বাহের উপযোগী আবখ্যক হিতকারী কর্মকে ক্লেশকর অপকৃষ্ট কর্ম্ম বিবেচনা করেন, আর। আবহ্যকতা