পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংহত্য—পরিশ্রম ২৯ হইয়াছে, সম্ভবমত পরিশ্রম যেমন আবশ্যক, অতিরিক্ত পরিশ্রম তেমনি গহিত। তাহাতে শরীর দুর্বল হয়, অন্তকরণ নিস্তেজ হয়, সুতরাং ধর্মপ্রবৃত্তি সকলও তেজোহীন হইতে থাকে॥ মনুষ্য কেবল এরুপ করিয়া আয়ুক্ষয় করিবেন, ইহা কদাচ পরমপিতা পরমেশ্বরের অভিপ্রেত নয়। তিনি আমাদিগকে নানাপ্রকার শুভকরী শক্তি প্রদান করিয়াছেন; অত এব প্রতিদিবস তৎসমুদায় সঞ্চালন করিয়া. শরীর ও মন সুস্থ ও সতেজ কর কর্ত্তব্য। প্রতিদিবসই জীবিক।-নির্বাহে কিঞ্চিৎ কাল ক্ষেপণ করিয়া অবশিষ্ট কাল জ্ঞানানুশীলন, ধর্ম্মানুষ্ঠান ও পবিত্র প্রমোদ-সম্ভোগে ঘাপন করা বিধেয়। যে জনসমাজে ইঞ্জিয়-পরায়ণ ভোগবিলাসী ব্যক্তিরা সংসারে কোন প্রকার উপকার না করিয়া, ত্ত,পাকার ভোজ-ভোগ্য সামগ্রী ভোগ করিতেছেন এবং নির্ধন লোক তাহাদের ইন্দ্রিয়-দেব সামাজিক ব্যবস্থা সমাধার্থে প্রতিদিন ত্রিশ চল্লিশ দণ্ড পরিশ্রম করিয়া। প্রণালীর দোষ শরীরপাত করিতেছে, তাহার ব্যবস্থা-প্রণালীর কোন না কোন স্থানে কোন প্রকার দোষ অবশ্যই প্রবিষ্ট আছে, তাহার সন্দেহ। নাই। তাহারা পর্যায়ক্রমে ক্লেশ ও নিদ্রা এই দুই বিষয়ের সেবা করে। তাহাদের প্রধান প্রধান মনোবৃত্তি চিরনিদ্রায় নিদ্রিত থাকে। অত্য অন্ত শিল্পঘন্ত্রের ত্যায় তাহাদিগকেও এক একটী যন্ত্র বলিলে বলা যায়। যদি জ্ঞান-বৃদ্ধি ও ধর্সোন্নতি করাই মনুষ্যের প্রধান কল্প হয়, তাহা হইলে জনসমাজে এতাদৃশ বিশ্বজলা অত্যন্ত অনিষ্টকর বলিতে হইবে, তাহার সন্দেহ নাই। আহার-পরিচ্ছদা দি প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত প্রতিদিন কিঞ্চিৎকাল। ক করা আবশ্যক বটে, কিন্তু নৈসর্গিক নিয়মানুসারে জীবন-যাত্রা নিৰ্বাহ করিবার নিমিত্ত অর্থাৎ পরিস্কৃত, পরিচ্ছন্ন থাকিয়া শরীয় সুস্থ রাখিবার