পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেত্রনালী। ზ&,ჯ লুণিত ও নিমজ্জিত বা উত্তোলিড হইতে পারে, এরূপ হওয়া উচিত এবং তাহা হইলে অন্য কোন প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।* * যাহাঁহউক, সচরাচর অমর যতই কেন চেষ্টা করি না, অশ্রুপ্রণালীকে প্রকৃত অবস্থায় নীত করিতে আমাদের সমস্ত চেষ্টা বিফল হইয়া যায়; সুতরাং নালী উন্মুক্ত থাকিয়া, রোগীকে সতত সাতিশয় বিরক্তি প্রদান করিয়া থাকে। তিন প্রকার উপায়ে এই বিষয় নিরাময় হইয়া যায়; চিকিৎসক তন্মধ্যে যে কোন প্রণালী অবলম্বন করিতে পারেন। ১ স্বতঃ ষ্টাইল প্রবেশন, ২ মতঃ আক্রথলী সমূল বিনাশন, ৩ য়তঃ অশ্রুগ্রন্থি নিষ্কাশন। ১। স্টাইল অব্যবহার্ঘ্য বলিয়। পূর্ব্বেই উক্ত হইয়াছে। কিন্তু চিকিৎসক উক্ত ব্যবহার করিতে ইচ্ছুক হইলে, নিম্নে তাহার প্রণালী লিখিত হইতেন্তে যদি নীল" এরূপ অবস্থায় থাকে যে, তন্মধ্য দিয়া প্রোব নাসাপ্রণালীতে প্রবেশিত করা যায় না, তবে তথায় প্রোব প্রবেশিত করিবার নিমিত্ত উহাকে কিঞ্চিৎ চিরিয়া দিতে হয়। এক্ষণে, সচরাচর যেরূপ ল্যাক্রিমীল প্রোব ব্যবহৃত হুইয়। থাকে, তদ্রুপ একটী প্রোব লইয়া প্রণালী মধ্য দিয়া নাসারন্ধে, প্রবেশিত করিতে হয়; এবং তৎপরেই ষ্টাইল লইয়। তৎস্থানে প্রবিন্ট করতঃ দুই তিন দিবস পর্য্যন্ত অবস্থিত রাখা উচিত। অতঃপর উহাকে বহিস্কৃত ও ধৌত করিয়া, পুনঃ প্রবিষ্ট করিতে হয়। এইরূপে সময়ক্রমে উক্ত প্রণালী বৃহত্তরীভূত হয়; এবং ইতিমধ্যে ষ্টাইলের পার্শ্ব দিয়। তৎসঙ্গে ২ অশ্রু নাfকণমধ্যে প্রধtfহত হইতে থাকে। সে যfহtহউক, এইরূপে রোগেণপশম করাও অত্যন্ত বিরক্তিকর; এবং ষ্টাইল ব্যবহার স্থগিত হইলে, উক্ত প্রণালী পুনরবরুদ্ধ হইতেও পারে। অপিচ এই রোগের পুনরাবির্ভাবের কথা দূরে থাকুক, উহা পরিধেয় স্থানকে এত উত্তেজিত করে যে, উহা পরিধান করাও রোগীর অত্যন্ত কটকর হুইয়। উঠে। অধিকন্তু এই ষ্টণইল আবার মধ্যে২ ন্যস্ত স্থান হইতে স্থলিত হইয়। পড়ে, এবং রোগী উহাকে স্বয়ং ভংস্থানে পুনঃস্থাপিত করিতেও পারে না; সুতরাং এই উপায় তাদৃশ উপকারজনক নহে, বরং এতদপেক্ষ। পরবর্ণিত প্রক্রিয়tদ্বয অনেকাংশে উত্তম। - ২। টুরিন নগরীয় ম্যানক্রিডি সাহেব; এই রূপ নলী হইলে, অশ্রথলিকে সমূল কর্ত্তন করিতে উপদেশ প্রদান করিয়া থাকেন। অশ্রথলিকে সম্পূর্ণ অনাবৃতরূপে কর্ত্তন করা আবশ্যক; এবং প্রয়োজন বেথ হইলে, থলির উৰ্দ্ধ সীম। অনগ্নত করিবার নিমিত্ত অবি

  • “The Practitioner” vol. ii, 25; and Lancet, 1869, r. 668.

† “Maladies des Yeux,” par L. A. Desmarres, tom. i. p. 369. j Ophthalmic Iteview, vol. ii. p. 418. 가