পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাশ্রথলির পুরাতন প্রদাহ। ১৩৩ শ্বেতবর্ণ ও চিকণ তরলপদার্থ নিঃস্থত হয়। অশ্র স্বাভাবিক প্রণালী দিয়া প্রবাহিত হইতে পারে না; উহা চক্ষুর অন্তরীপঙ্গ দেশে সঞ্চিভ হইয়া, গণ্ডদেশ দিয়া প্রবাহিত হওতঃ রোগীকে সর্ব্বদা সম্পূর্ণ বিরক্ত করে r থলির প্রদেশে কোন প্রকার যন্ত্রণ অনুভূত হয় না, তবে উক্ত স্থান মধ্যে২ কণ্ড,য়িত হইয়া, কিঞ্চিৎ ক্লেশ প্রদান করিয়া থাকে। এইরূপ পুরাতন প্রদাহ প্রকুপিত বা হ্রসিত না হইয়া, কতিপয় মাস পর্য্যন্ত সমভাবে স্থায়ী থাকিতে পারে। কিন্তু কোন সময়ে ইহাতে আবার প্রবল প্রদাহ সমুপস্থিত হইয়। একটী স্ফোটক কিম্ব নালী উৎপাদিত হয়। অতএব যত শীঘ্র পীড়া উপশণিত হইয়া যায়, তদ্বিয়ে যত্নবান হওয়া অতীব প্রয়োজনীয়। চিকিৎসা I–পীড়ার প্রথমাবস্থায় প্রদাহিত থলির উপরিভাগে ক্ষুদ্রং ব্রিষ্টার পর্য্যায়ক্রমে লগ্ন করা বিয়ে’। বিশেষতঃ বালকদিগের পক্ষে উই বিশেষ প্রয়োজনীয়। যাহাঁহউক সচরাচর বিষ্টর ব্যবহার করিয়া অধিক সময়ক্ষেপ করাও বিধেয় হয় না; কারণ অধিক পরিমাণে শ্লেষ্মা সঞ্চিত হইয়া থলিতে উত্তেজনার বৃদ্ধি করিতে থাকে। অতএব পংটম এবং ক্যানলিবি উলস্ চিরিয়া দিয়া, থলিকে উন্মুক্ত করা পরামর্শ সিদ্ধ। যত দিন পর্য্যন্ত এই বিদারণ শুষ্ক হইয়। ন৷ ষায়, তত দিন পর্য্যন্ত থলিকে চিরোমুক্ত রাখিবার নিমিত্ত, উক্ত বিভেদিত স্থানের প্রান্তদ্বয় পরস্পর অন্তরিত রাখা উচিত।: তৎপরে থলিকে অশ্রশূন্য করিবার নিমিত্ত প্রত্যহ তিন কিম্বা চারি, বীর করিয়া, রোগী স্বীয় অঙ্গুলি দ্বারা অন্তরীপাঙ্গ দেশে প্রতিচাপ প্রদান করিবেন। এইরূপ হইলে, উক্ত স্থান ক্রমশঃ সুকুচিত হইয়া আইসে; এবং শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে স্বাস্থ্যপ্রদ কার্য্যাদি আবিভূর্ত হইয়া পীড় উপশমিত হয়। অঙ্গলি দ্বারা প্রতিচাপ দিবীর পরে, যদি দুই গ্রেণ য়্যালম ও দুই গ্রেণ সলফেটু অৰু জিংক এক আউন্স জলে মিশ্রিত করিয়া, উক্ত থলিতে পিচকারী দেওয়া যায়, তবে পীড়। শীঘ্র আরোগ্য হইতে পারে। এই কার্য্যে এর্নেল সাহেবের fortstät (Anel's syringe) aRwfw x5* উচিত। প্রাদাহিক সমুদয় লক্ষণ অপনীত হইলেও অধিক দিন পর্যন্ত এইরূপ ঔষধ ব্যবহার করা সর্ব্বতোভাবে উচিত। মিউকোসিল (Mucoccle) –এই রোগে অশ্রথলিতে স্বাভাবিক অশ্রু সঞ্চিত হয়, নাসাপ্রণালী প্রণয় সর্ব্বদা কদ্ধ থাকে, এবং অনেকানেক স্থলে অশ্র প্রণালীসমূহ অন্প বা অধিক পরিমাণে অবরোধ

  • Dixon “On Diseases of the Eye,” 3rd edition, p. 234.