কেরিজ। (సె কৌষিক-ঝিল্লীকেও আক্রমণ এবং দর্শন-স্নায়ু পর্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়া তৃপ্টিক প্যাপিলাকে ছুসিক্ত করিয়াছিল। - চিকিৎসা | যদি এক্সফোলিয়েশন বা বহিবৰ্দ্ধন (Exfoliation) সমুপস্থিত মা হয়, তবে এই নেত্রপুতি রোগে রোগীর কোন প্রকার চিকিৎসার অধীন না হইয়', প্রকৃতির উপর নির্ভর করাই উচিত। ইহাতে যখন fNFfItfg ( Dead-bone ) পৃথক্ভুত হইয়াছে বলিয়। জগন। যাইবে, তখন উহ। কর্ত্তন করিয়া বাহির করা বিধেয়। অক্ষিকোটরের নির্মাণ অতিশয় ঘনসংবদ্ধ ও জটিল; সুতরাং তাহাতে অস্ত্র করা অতিশয় গুৰুতর কার্য্য। তন্নিমিত্ত নিতান্ত প্রয়োজন না হইলে, এস্থলে তন্ত্র ব্যবহার করা কোন মতেই উচিত নহে। অক্ষিকোটরীয় অস্থিসকলের (Caries ) কেরিজ-রোগে, বিশেষতঃ ইহাতে অনুপযুক্ত চিকিৎসা হইলে, যে কত ভয়ানক অপকার উৎপাদিত হইয় থাকে, তাহ নিম্নলিখিত উদাহরণ পাঠ করিলে স্পষ্ট প্রমীণীকৃত হইবে। o ১৮৬৫ খৃঃ অব্দের ২০ শে আগস্ট গিরীশচন্দ্র সিংহ নামক অষ্টাদশ বর্ষ বয়স্ক এক যুবক কলিকাত অক্ষিচিকিৎসালয়ে রোগ শান্তির নিমিত্ত প্রবিষ্ট হয়। ইতিপূর্ববৎসর ঐ ব্যক্তি শারীরিক বিলক্ষণ সুস্থ ছিল; এবং মুদ্র লিয়ে অক্ষর-সংযোজনের কার্য্য করিত। তার এরূপ সংবাদও পাওয়া যায় নাই যে, ঐ ব্যক্তি কথন বংশানুগ বা লব্ধ উপদংশ রোগে আক্রান্ত হইয়াছিল। এক বৎসর পুর্ব হইতেই সে শিরোযন্ত্রণ ভোগ করিয়। ত্যাসিতে ছিল এবং তাহীর কিছুকাল পরে উস্কার মাসিকা হইতে রক্ত ও শ্লেষ্ণু অস্ত হইয়া পড়িত। তন্নিমিত্ত সে বন্ধ বর্গের পরামর্শে, আনবরতঃ ই দুই মাস পর্য্যন্ত টাসেলিজমৃ ( Piyalisui ) বা মুখ-অন ইয়। অধিকতর লাল নিৰ্গত, ও ললাটপার্শ্বে ডলোক সংলগ্ন করিয়া, শোণিত নির্গত করাষ্ট্রয়াছিল। কিছুদিন পরে, একদিন প্রাতঃকালে জাগরিত হইয়। দেখিল যে, তাহার বাম চক্ষু দৃষ্টি-বিহীন হইয়াছে। অপিচ অণর একমাসের মধ্যে দক্ষিণ চক্ষুরও দৃষ্টি-প্রতিরোধ হওয়ায় সে একেবারে অন্ধ হইয়া fগয়াছিল। ভ্রাণ-শক্তির বিনাশ ভিন্ন, তাহার পাকস্থলী দূষিত বা মনোৱত্তি পরিবর্তিত হয় নাই | দক্ষিণক্ষিগোলক অধিকতর বহিঃস্থত, কর্ণিয়। কলুষিত এবং বামনেত্রের উৰ্দ্ধন,সাপাঙ্গের উপরিভাগে একটী নালী-পথ হইয়াছিল। এই পথের মধ্য দিয়া একটা প্রোব অনfয়াসে অক্ষিকোটরের অতি পশ্চাৎদেশ পর্য্যন্ত ঘাইতে পারিত; কিন্তু কোনরূপ নির্জীব ব{ গলিত অস্থি অনুভূত হয় নাই। বাম নেত্রীপেক্ষ দক্ষিণ নেত্র অধিক উন্নত “ হইয়াছিল; এবং দৃষ্টিপথ স্বচ্ছ ও অপ্টিক্ ডিস্কের চতুঃসীম। অস্পষ্ট
