পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬। অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। যজ্ঞাহুতির বিবরণ প্রকাশিত করিয়া গিয়াছেন; কিন্তু আধুনিক লােকে তাহার ভাব গ্রহণে অসমর্থ। যজ্ঞাহুতির মর্ম বুঝিবার জন্য ধীর ও গম্ভীর ভাবে বিচার করা কর্তব্য যে অগ্নি কি বস্তু এবং অগ্নিরূপে পরমাত্মা কি কার্য্য সম্পন্ন করেন। যদি কেহ বলে তােমার জীবিত মাতা পিতা অচেতন জড়,অথবা তুমি জীবন সত্ত্বেও মরিয়া ভূত হইয়াছ তাহা হইলে কি একথা শুনিবা মাত্র বিশ্বাস করিবে, না বিচার করিয়া দেখিবে যে, উহা। সত্য কি মিথ্যা? অতএব বিচার করিয়া দেখ, যে, অগ্নিব্রহ্ম চেতন কি। জড়, মঙ্গলকারী কি অমঙ্গল কারী। বিনা বিচারে ব্যবহারিক ও পারমার্থিক কোন কার্যে প্রবৃত্ত হওয়া মনুষ্যের অযােগ্য। এই বাহুতির যে প্রথা অতি প্রাচীনকাল হইতে প্রচলিত এবং হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টীয়ান, বৌদ্ধগণ ধর্ম্মানুষ্ঠান কালে অগ্নিতে গন্ধদ্রব্য সংযুক্ত করিয়া অ্যাপি যে প্রথার চিহ্ন রক্ষা করিতেছেন সে প্রথা পরিত্যাগ বা তাহার নিন্দা কবিবার পূর্ব্বে বিচারের দ্বারা তাহার ফলাফল সম্যক রূপে বুঝা উচিত।” “সচরাচর মনুষ্যের নিকট স্কুল পদার্থের প্রাধান্য। এজন্য স্কুল অগ্নি অনুষ্যের প্রধান উপকারী। স্কুল পদার্থ বিনা মানুষ মানুষ রূপে থাকিতে পারে না। এবং স্কুল অগ্নিই মানুষের সুখ স্বচ্ছন্দতার প্রধান বিধায়ক। মানুষ স্কুল অগ্নির সহিত যেরূপ ব্যবহার করেন জগতে তদনুরূপ সুখ দুঃখ ভােগ হয়। ধান বুনিলে ধান লাভ হয় কাটা বুনিলে কঁাটা। যদি দুর্গন্ধময় পচা জিনিস, বিষ্ঠা, পাথুরিয়া কয়লা কেরােসিন তৈল প্রভৃতি অগ্নিতে ভষ্ম কর তাহা হইলে শরীর ও মনের কষ্টরূপ ফল লাভ হইবে। যদি সুগন্ধ সুস্বাদু দ্রব্য অগ্নিতে আহুতি দাও তাহা হইলে পাথ রিয়া কয়লা কেরােসিন তৈল প্রভৃতি মন্দদ্রব্য অগ্নি সংযােগ করা সত্ত্বেও জল, জ্যোতি ও বায়ুর প্রসন্নতায় জগৎবাসীগণ সুখ স্বচ্ছন্দে কালাতিপাত ফুরিবে।” ' ।