পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ - | অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। প্রভৃতি কুফল ও চন্দন ঘৃতাদি আহুতি দিলে নীরােগিতা প্রভৃতি সুফল লাভ হয়।” (অমৃত সাগর ১০৪,১০৫ পৃষ্ঠা)। | “অতএব ইহার (পরমাত্মার) নাম যে ব্রহ্ম গায়ত্রী তাহার জপ বা ওঁকার ও স্বাহা বলিয়া অগ্নিতে আহতি দিবার যে মন্ত্র তাহাতে স্ত্রী পুরুষ মনুষ্য মাত্রেরই অধিকার আছে। মনুষ্য মাত্রেই তঁাহাকে ভক্তি পূর্ব্বক ওঁকার ও ব্রহ্মগায়ত্রী নামে ডাকিবে অর্থাং ঐ মন্ত্র জপিবে। এবং “ওঁ বরদে দেবি পরম জ্যোতিব্রহ্মণে স্বাহা” “ওঁ পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃ স্বরূপায় স্বাহা” “ও চরাচর ব্রহ্মণে স্বাহা” এই তিন বা ইহার মধ্যে কোন এক অথবা তদধিক মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া কিম্বা বিনা মন্ত্রে জ্যোতিঃ স্বরূপ পরমাত্মার নামে অগ্নিতে আহুতি দিবে।, ইহাতে ভয় বা সংশয় নাই। বরঞ্চ সৰ্বতােভাবে মঙ্গলই আছে।” ( অমৃত সাগর ১০৯, ১১০ পৃষ্ঠা)। কলিযুগে যদি যজ্ঞাহুতি নিষিদ্ধ হইত তাহা হইলে, বঙ্গেশ্বর মহারাজ আদিশূর এবং নবদ্বীপাধিপতি মহারাজ কৃষ্ণ চন্দ্র বৃহৎ বৃহৎ যজ্ঞানুষ্ঠান করিতেন না বা করিতে পারিতেন না। মহারাজ আদিশূর বৃহৎ পুত্রেষ্টি যজ্ঞ এবং মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র “অগ্নিহােত্র” এবং “বাজপেয়” নামক দুইটী অতি বৃহৎ যজ্ঞ করিয়াছিলেন, ইহা ইতিহাসজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন। | শ্রীমন্মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের জীবন বৃত্তান্ত মধ্যে লিখিত আছে যে, ঐ দুই যজ্ঞে মহারাজের বিংশতি লক্ষ মুদ্রা ব্যয় হইয়াছিল। তখনকার কুড়ি, ঈক্ষ এখনকার দুই কোটী টাকার ও অধিক বলা যাইতে পারে। প্রকৃত পক্ষে ঐ টাকার সমস্ত যদিও আহুতি কার্যে ব্যয় হয় নাই তথাপি বলিতে হেইবে ঐ দুই যজ্ঞ অতি বৃহৎ কাণ্ড। ঐ যজ্ঞদ্বয় সম্পন্ন কালে অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ দ্রাবিড় কাশী কাঞ্চি প্রভৃতি দেশ প্রদেশের বহু পণ্ডিত শ্রেষ্ঠ ।