পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২. অগ্নিব্রহ্মের অত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। . . নিবদ্ধ আছে। তাহার অনেক উপদেশ লিপিবদ্ধ হয়ও নাই। এই মহাপুরুষের উপদেশ সকল বেদবাক্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলিয়া মান্যকরা উচিত। কারণ এই নব ব্রহ্মবিদের, বাক্য ব্রহ্মবাণী সদৃশ। বেদবাক্যে শাস্ত্রকার ব্রাহ্মণগণের ভ্রম ও স্বার্থপরতা থাকিতে পারে; কিন্তু ব্রহ্মবিদের বাক্যেতে স্বার্থপরতা নাই। পৃথিবীর বড়ই দুর্ভাগ্য যে, এমন দুলাভ মহাপুরুষকে পরীক্ষার জন্য কোন বাঙ্গালী ডাক্তারবাবু মিষ্টান্নের সহিত অদেণিক মিশ্রিত করিয়া ভােজন করাইয়াছিল। উদ্দেশ্য এই. যদি তিনি সিদ্ধ মহপুরুষ হন বাঁচিয়া যাইবেন, ভণ্ড হইলে মৃত্যু অনিবার্য। ফলতঃ তিনি কয়েকমাস অত্যন্ত জ্বালা যন্ত্রণা প্রকাশ করিয়া মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন, তৎপরে সূৰ্ব কলুষবর্জিত অমৃতধামে উপনীত হন। পরমহংস স্বামী ঐ আর্সেনিক বিষ অবশ্যই জীর্ণ বা নিস্ফল করিতে পারিতেন। কারণ বহু বৎসর পূর্ব্বে সিঙ্গুরের শ্রীবল্লভ মল্লিক বাবুদের। বাগানে যখন তিনি এক কুটীরে বাস করিতে ছিলেন, সেই সময়ে গােরা সাপের সলুই তাহাকে দংশন করিয়াছিল। তখন তিনি কিয়ৎক্ষণ ধ্যানস্থ হইয়া সেই গােক্ষুরা সলুইএর ভীষণ বিষ জীর্ণ করিয়া দিয়াছিলেন। এস্থলে প্রশ্ন হইতে পারে যে, তবে এখন কেন এই আর্সেনিকের বিষ নিস্ফল করিতে পারিলেন না? . ইহার উত্তর এই, তাহার প্রচারকার্য ( মিশন) শেষ হইয়াছিল। অর্থাৎ পৃথিবীতে তাহার যাহা কৰ্তব্য তাহা তিনি উত্তমরূপে প্রতিপালন করিয়াছিলেন। আরও তিনি জগৎকে দেখাইয়া গেলেন যে, মহাপুরুষত্ব পরীক্ষার জন্য কাহারও প্রতি বিষাদি মৃত্যুজনক কিছু প্রয়ােগ করা কাহারও উচিত নহে। পরমহংস স্বামীর বহুযন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু দেখিয়া সম্ভবতঃ অনেকেই তঁাহার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইয়া থাকিবেন এবং ভবিষ্যতেও অনেকে তাহার প্রতি বীত শ্রদ্ধ হইতে পারেন। কিন্তু: ' '। , ,,