পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। ৫৪ . অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতির প্রকরণ। সুদীর্ঘকাল যথেষ্টরূপে এই ধর্ম্ম ক্ষেত্র ভারত বর্ষে যাগ যজ্ঞাদি না হওয়াতে আমাদের ভাগ্যবিধাতা গ্রহতারা নক্ষত্ররাজিসমন্বিত অগ্নিব্রহ্ম সূর্য্যনারায়ণ অতিশয় ক্ষুধিত তৃষিত সুতরাং কুপিত হইয়া পড়িয়াছেন। এই জন্যই পৃথিবীতে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অকাল বৃষ্টি, জলপ্লাবন, ভূমিকম্প রােগ বাহুল্য অকাল মৃত্যু ইত্যাদি দৈব নিগ্রহ ঘটিতেছে। ব্রাহ্মণপণ্ডিত গণ অগ্নিহােত্র এবং তপস্যা হীনতা হেতু ইহা বুঝিতে পারিতেছেন না। পরমহংস শিবনারায়ণ স্বামী অগ্নিহােত্র এবং তপস্যা দ্বারা অজ্ঞান মুক্ত ৰা ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন। সুতরাং অগ্নিহােত্র অর্থাৎ অগ্নিতে আহুতির ফলাফল, এবং পরমাত্মা ব্রহ্মের মনের কথা তিনি যেমন অবগত ছিলেন, তেমন আর এখন কেহই নাই। অতএব তাহার মতে কার্য্য করাই যুক্তিযুক্ত। তথাপি অগ্নিহােত্রাদি শুভকর্ম্ম সম্বন্ধে আরও কিছু উক্ত হইল। শুক্লযজুর্বেদীয়া বাজসনেয় সংহিতােপনিষৎ বা ঈশােপনিষদের দ্বিতীয় শ্লোকে লিখা আছে “ কুন্নেবেহ কর্ম্মানি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ এবং ত্বয়ি নান্যতেতােহস্তি ন কর্ম্ম লিপ্যতে নরে॥২॥” শ্রীযুক্ত সীতানাথ দত্ত তত্ত্বভূষণ মহাশয় ঐ শ্লোকের এইরূপ অর্থ করিয়াছেন। “ব্রহ্মযােগে অসমর্থ ব্যক্তি অগ্নিহােত্রাদি (শুভ) কর্ম করিয়াই ইহলােকে শতবর্ষ জীবিত থাকিতে ইচ্ছা করিবেক। হে মানব। তােমার পক্ষে ইহা ব্যতীত এরূপ অন্য পথ নাই, যদ্বারা অশুভ কর্ম্মে লিপ্ত হইবে না।” * উক্ত শ্লোক হইতে এই শিক্ষা লাভ হয় যে, অগ্নিহােত্র দ্বারা মনুষ্য যােগ বিহীন এবং দীর্ঘজীবি হয়; আর শুভ বুদ্ধির উদয় হইয়া থাকে। ||TT। LI,