পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্টের পরিশিষ্ট। বা বিদ্যালাভের উপযােগী হইয়াছিল, তখন তাহাদিগের বিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা আর্য্যগণ করেন নাই,ইহাই এখন ভারতের দুর্ভাগ্য এবং পরিতাপের বিষয় বলিয়া বিবেচিত হইতেছে। মহান্‌ইংরেজ জাতির এবং মহাভৰ ইংরেজ রাজপুরুষদিগের বিদ্যানুরাগ, বিদ্যোৎসাহ, বিদ্যাবিস্তার বা বিদ্যা সানেচ্ছা অতীব প্রশংসনীয়, ইহা পক্ষপাত শূন্য ব্যক্তি মাকেই স্বীকার করিতে হইবে। প্রাচীন কালের শূদ্রগণের অবস্থা নানাশাস্ত্র হইতে সংগ্রহ করিলে, এইরূপ জানা যায়:-“শূদ্র কৃষ্ণবর্ণ, শৌচাচার পরিভ্রষ্ট, সর্ব্ব নীচ কর্মে রত নিরক্ষর, কূর, খল এবং নৃশংস। শূদ্রগণের ধর্ম ত্রিবর্ণের সেবা, ত্রি বর্ণের উচ্ছিষ্ট ভােজন, ত্রিবর্ণের পরিত্যক্ত ছিন্ন বস্ত্র পরিধান এবং ব্রাহ্মণ মুখে পুরাণ শ্রবণ। শূদ্র যদি বেদ বাক্য শ্রবণ করে, তাহার কর্ণে উত্তপ্ত সীসক ঢালিয়া দিবে, জিহ্বায় উচ্চারণ করিলে তাহার জিহ্বা ছেদন দণ্ড।” এখন কি শূদ্রগণের ঐরূপ অবস্থা আছে না উক্তরূপ বিধি তাহাদের উপর প্রয়ােগ করা যায়? এখন চারিবর্ণেরই মনুষগণের বিলক্ষণরূপে অবস্থা বিপর্যয় ঘটিয়াছে; সুতরাং শাস্ত্র সম্মত বর্ণাশ্রম ধর্ম্ম আর রক্ষা হয় কিরূপে? অতএব সময়ােচিত অধিকার লাভ হওয়া যুক্তি সঙ্গত কিনা? ৪। মহা আড়ম্বরপূর্ণ যজ্ঞের অপ্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে।-মহারাজ আদিশূর এবং মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের মত মহা-আড়ম্বর পূর্ণ ও বহুদূর দূরান্তর হইতে মহামহােপাধ্যায় বহু ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিমন্ত্রণ দ্বারা টাকার শ্রদ্ধের যজ্ঞের এখন কোন প্রয়োজন নাই। এখন রাজা, মহারাজা, জমিদার, মহাজন এবং সমর্থবান ভদ্র গৃহস্থ মাত্রেরই গৃহে গৃহে নিত্য দুই বেলা গেমানুষ্ঠান বা যজ্ঞাতি হওয়ার প্রয়ােজন।