পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

FITTI ৬ . অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। | বিশেষ বিশেষ সময়ে এবং বিশেষ বিশেষ স্থানে, বহু লােক মিলিত হইয়া চঁাদা দ্বারা অর্থ সংগ্রহ করিয়া অথবা ব্যক্তি বিশেষের অর্থে দুই পাচ দশ শত টাকার ঘৃতাদি আহুতি দ্রব্য সংগ্রহ পূর্বক ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে অগ্নি ব্রহ্মে অর্পণ করাও কর্তব্য। ৫। চারিজাতীয়মনুষ্যসৃষ্টিকখা সম্বন্ধে। যাহাদের বিশ্বাস এবং ধারণা যে, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার চারি অঙ্গ হইতে চারি জাতীয় মনুষের উৎপত্তি হইয়াছে, তাহারা এখনও ঘোর ভ্রান্তিতে আছেন। কারণ সৃষ্টির প্রথমকালে বা সত্যযুগে জাতিভেদ ছিল না ইহা নিঃসংশয়ে নিষ্পত্তি হইয়া গিয়াছে। তাহা হইলে, সৃষ্টিকর্তার চারি অঙ্গ হইতে চারি জাতীয় মনুষ্যের উৎপত্তি কখনও সম্ভব হইতে পারে না। তাহা যদি হইত সৃষ্টির আদিতেই সম্ভব হইতে পারিত। একযুগ পরে সৃষ্টিকর্তা চারি জাতীয় মনুষ্য সৃষ্টি নিশ্চয়ই করেন নাই। তাহা করিলে তাহাকে প্রথম যুগের সমস্ত নরনারী প্রকৃতিকে বিনষ্ট করিতে হইত। প্রথম যুগে বা সত্যযুগে জাতিভেদ ছিল না তাহার বিস্তর শাস্ত্রীয় প্রমাণ আছে। এলে ভাগবতের শ্লোকার্ধ উদ্ধত হইল মাত্র। যথাঃ-“আদৌকৃতযুগে বর্ণো মৃণাং হংস, ইতিহৃতঃ।” অর্থ-সত্যযুগে বর্ণভেদ ছিল না; সকলেই হংস নামে অভিহিত হইতেন। অতএব বর্ণভেদ এবং বর্ণাশ্রম ধর্ম্ম নিশ্চয়ই মহাপ্রতাপশালী বুদ্ধিমান রাজাগণ এবং বিদ্বান রাজপণ্ডিতগণের দ্বারাই কল্পিত ও ব্যবস্থিত হইয়াছিল। প্রথম যুগের মনুষ্যগণকেই পরের যুগে গুণকর্ম্মানুসারে চারি বর্ণে পরিণত করা হইয়াছিল ইহাই অতি যুক্তি সঙ্গত কথা।, ৬। সকল জীবের মঙ্গলকামনাব শুভেচ্ছা করা দুষণী বা বাতুলতা নহে।-চন্দননগরের