পঞ্চক। চলো না ভাই, আচার্যদেবের কাছে যাই—তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেই—
জয়োত্তম। আবার! ফের!
পঞ্চক। ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘুণাপয়—
জয়োত্তম। আমার তো উনিশ বছর বয়স হল—এর মধ্যে একবারও আমাদের গুরু এ আয়তনে আসেননি। আজ তিনি হঠাৎ আসতে যাবেন এটা বিশ্বাস করতে পারিনে।
সঞ্জীব। তোমার তর্কটা কেমনতরো হল হে, জয়োত্তম? উনিশ বছর আসেননি বলে বিশ বছরে আসাটা অসম্ভব হল কোন্ যুক্তিতে?
বিশ্বম্ভর। তাহলে অঙ্কশাস্ত্রটাই অপ্রমাণ হয়ে যায়! তবে তো উনিশ পর্যন্ত বিশ নেই বলে উনিশের পরেও বিশ থাকতে পারে না।
সঞ্জীব। শুধু অঙ্ক কেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটাও টেঁকে না। কারণ যা এ-মুহূর্তে ঘটেনি তা ও-মুহূর্তেই বা ঘটে কী করে?
জয়োত্তম। আরে। ওইটেই তো আমার তর্ক। কে বললে ঘটে? যা পূর্বে ঘটেনি তা কিছুতেই পরে ঘটতে পারে না। আচ্ছা, এসো, কিছু যে ঘটে সেইটে প্রমাণ করে দাও।
পঞ্চক। (জয়োত্তমের কাঁধে চড়িয়া) প্রমাণ? এই দেখো প্রমাণ। ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘুণাপয়—
জয়োত্তম। আঃ পঞ্চক! কর কী। নাবো বলছি। আঃ নাবো।
পঞ্চক। আমি যে তোমার কাঁধে চড়েছি সেটা প্রমাণ না করে দিলে আমি কিছুতেই নাবছিনে। ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘুণাপয়—