পাতা:অজয়েন্দু নাটক.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** অজয়েন্দু নাটক । লাজ। কি দশ সহস্র ? তবে ত আমাদের অৰ্দ্ধেক সৈন্য, শুনিছি ক্ষত্রিয়রা নাকি ভারি অন্ত্র ৰিদ্যায় পারদর্শী। ইহা কি যথার্থ ? ভূ-সেনা । জগতের মধ্যে এমন কোন জাতি নাই ৰাছার ক্ষত্রিয়দিগের সঙ্গে অস্ত্রবিদ্যার সমতুল্য হয়। উহাদিগকে রণে পরাজয় করা বড় দুৰূহ ব্যাপার। যতক্ষণ পর্য্যন্ত একটী ক্ষত্রিয় জীবিত থাকবে ততক্ষণ পর্য্যন্ত আমরা জয়ের আশ৷ করি না। উহাদের স্ত্রীগণের বীর্য্য পুরুষাপেক্ষা স্থান নহে। সহসা আমি যুদ্ধের জন্য পরামর্শ দিতে পারি না । উহাদের জয় করিবার একমাত্র উপায় আছে। তাহা— কৌশল। চ-সেনা । যুদ্ধ ব্যতিরেকে আর কি কৌশল আছে ? প্র-সেনা। কৌশলই আমাদের বল বটে। কিন্তু যখন অগ্নি প্রজ্বলিত হয়েছে, ক্ষত্রিয়ের উত্তেজিত হয়েছে, অজেয়েন্দ্র সিংহ কারামুক্ত হয়েছে, তখন আর কৌশলের উপায় নাই। রণক্ষেত্রে সম্যক যুদ্ধে প্রৰিষ্ট হতেই হবে। - মাজ । (অন্যদের প্রতি) তোমাদের এ বিষয়ে মত কি ? চ-সেনা। আমি ও বিষয়ে কখৰ মত দিতে পারি না। তাহ হলে পরাক্রমশালী ক্ষত্রিয় হস্তে নবাব দ্বপ চূর্ণ হবে—ম্ভাহা হলে আমাদের চিরপ্রসিদ্ধ গৌরব বিনই হবে। লাজা। তোমরা যা বলছ সত্য বটে,কিন্তু বিবেচনা করে দেখ যমুখ যুদ্ধ ভিন্ন এখন আর কোৰ উপায় নাই, সম্মুখ যুদ্ধে বীর্ষের সহায় গ্রহণ না করলে মেষের ন্যায় আমাদিগকে ক্ষত্রিয় হন্তে পতিত হতে হবে। তবে কেন না সম্মুখ যুদ্ধ করব ? জয় যে - কাহার পক্ষ তাহার ত কিছুই নিশ্চয় নাই, অতএৱ তোমরা