তৃতীয় গর্তাঙ্ক। সুনন্দার ঘর-উদ্যানের সম্মুখ। নন্দ ছুরিকা লইয়া মলিন বেশে আসীনা। হন। মানব দেহ দুঃখের ভার সদাই বহন করে— চাতকের ন্যায় এক দৃষ্টে চাহিয়া থাকে— আশা লতাকে চিরবৰ্দ্ধিনী করে— যার পক্ষে বিধি বাম তার কি কখনও কোন মুখের আশা থাকে- যার জন্য এ ভরা যৌবন অনেক আশা করে রেখেছিলেম সেই যৌবন আজ র্তার শ্রীচরণে অর্পণ করবো। র্যার অদর্শনে প্রাণ মন বিচলিত হোত তারে কি না এ জন্মে আর দেখতে পাব না—গেলেন---তা একবার দেখা হলো না : আহা, দিদিই বা গেলেন কোথায় ? আহা ! কি যন্ত্রণা পেয়েই প্রাণত্যাগ করেছেন---হা বিধাত ! তোমার মনে কি এই ছিল ? তবে আর কেন— যে পথে প্রাণনাথ সেই পথে গমন করি। অঞ্চলের দ্বারা আমার চক্ষুর জল গিনি মুছাইয়া দিতেন তিনিও দাদার অসদাচরণে প্রাণ পরিত্যাগ করেছেন। তবে আর আমি এ পৃথিবীতে কেন? যাই প্রাণনাথের সহিত সাক্ষাৎ করি গে—প্রাণনাথ ! তুমি সদর, দয়াবান, কৃপা করে এ রূপাকাঙ্ক্ষীর উপর একবার কটাক্ষপাত কর। আমি আর তোমা বিহনে কিৰূপে এ প্রাণধারণ করবো? হা কৃপানাথকেন আমারে সেই ত্রিদেবীর মন্দিরে তার সহিত মিলাইয়া ছিলে ? আমায় এই অসহনীয় দুঃখের ভাগিনী করিবার
পাতা:অজয়েন্দু নাটক.pdf/৮১
অবয়ব