অজয়েন্দু নাটক। ' טו জন্য ? তা কেন আমায় তখনই বল নাই? হা জীবিতেশ্বর--- হা যোদ্ধা পুরুষ ! হা সদয়নাথ ! আছে (দীর্ঘনিশ্বাস ও ক্রন্দন । ) { প্রেমময়ীর প্রবেশ । প্রেম। দিদি, আজি তুমি এমন বিমৰ্ষ ভাবে বলে কেন ? তোমার মুখে হাসি নাই—গালে হাত দিয়ে ভাবচো—আবার কাদচ, মুখ তোল– তোমার প্রেমময়ী এসেছে, মনের কথা বল, আমার কাছে কিছু অপ্রকাশ রেখ না। মুন। (দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া) প্রেমী । মনের কথা শুনবার লোক ষে আমার নেই—যার সঙ্গে আমার সেই ত্রিদেবীর মন্দিরে প্রণয় ভাবে স্বাক্ষাৎ হয়েছিল, তিনি যে সম্মুখ রণে প্রাণত্যাগ করেছেন—অহো ( দীর্ঘ নিঃশ্বাস)। প্রেম। দিদী । ওকি কথা বল ? বিধির লিখন কে খণ্ডাতে পারে ? তোমায় যে তিনি দুঃখের ভাগিনী করবার জন্ত পশ্চাতে রেখে যাবেন তা ত আর আমি জানৃতুম না, রাজবালা, আর কেঁদ না— দুঃখের সাগর আর উৎলে না, চোক মোচ, এখন ও চিন্তা ত্যাগ কর। মুন। (দীর্ঘ নিঃশ্বাস) র্যাকে মন প্রাণ অর্পণ করেছিলাম র্তার বিরহে কি প্রকারে জীবন ধারণ করবো ; জীবননাথ ! কেন আমায় তুমি সঙ্গে করে নিলে না ? হে মুখ দাতা, এ ক্ষত্রিয়া যুৱতী বিধবা হয়ে পতির দুঃখভার বহন কত্তে পারবে না—এ কোমলাঙ্গী, পতি আদর্শণ—দারুণ কষ্ট সহ কত্তে পারবে না—আমার আর এ প্রাণে প্রয়োজন কি ? (প্রেমময়ীর প্রতি ) প্রেমী ! তুই একবার আমার ঘর
পাতা:অজয়েন্দু নাটক.pdf/৮২
অবয়ব