অজয়েন্দু নাটক। - 15 এক যোদ্ধা রাজপুত্রের সহিত তাহার পরিণয় হয়, বীরবর যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করেছেন সেই দুঃখেই বোধ হয় পতি পরায়ণ। ষোড়ম্বী আত্মহত্যা করেছে, আর রাজ্ঞীর শোকে প্রাণনাথ প্রাণত্যাগ করেছেন । ( অজয়েন্দ্রকে আলিঙ্গন করিয়া ) প্রাণনাথ ! নবাব পুত্রী কুলসমৃ আপনার প্রেমাকাঙ্গী হয়ে আপনার সম্মুখে দণ্ডায়মান— আপনি ও যেখানে আমিও সেখানে— নাথ আর কণ্ঠ দিওন!— (দণ্ডায়মান) কেন আমি স্বন্দরী হয়ে পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ কল্লেম – কেন আমি স্বন্দর নয়নে ক্ষত্রিয় রাজের প্রতি দৃষ্টি পাত কল্লেম— কেন আমি এর প্রেমে বদ্ধ হয়ে নিজ ষেীবন ইহাতে সমর্পণ কল্পেম— হা প্রাণ ! বন্দী— চিরবন্দী-কষ্টের সীমা নাই— উহার উপর প্র*4কান্তের বিরহ– কণ্ঠের তার সীমা নাই— এ দারুণ কষ্ট সহ করতে আমি কখনই পারব না— তবে আর আমার এ জীবনে প্রয়োজন কি ? র্যারে মন প্রান যৌবন সকলই সমৰ্পণ করেছি, তিনি যখন এ ছার সংসার ত্যাগ করেছেন তখন আমি আর কাহার জন্য, কাহার ভরসায় এ জীবন রক্ষা করবো ? ( রাজার বক্ষ হইতে ছুরিকা লইয়। অবলোকন) তুমিই আমার প্রাণ কাস্তের জীবন হরণ করেছ, তুমি নৃশংসাপেক্ষা অতি দুরাচার, তুমি আমার ও সহায় হয়ে আজি এই ছার জীবন হরণ কর। ছুরিকা, তবে আর বিলম্ব কিসের? পতির বিরহে প্রাণদান, সতীর চিহ্ল । হে পিতা মাতা, তোমরাও বন্দী, তোমাদের নিকট আজি আনন্দে বিদায় চাহিতেছি— বিদায় কর-দোষ সকল মার্জন কর— হে ভগবান এ অমুল্য জীবন ধন আজি বিসজ্জন দিচ্চি– তুমি আমার দোষ
পাতা:অজয়েন্দু নাটক.pdf/৮৬
অবয়ব