পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান কালীপূজার দুই একদিন পর, ষ্টেটসম্যান’এ (Statesman'এ) অনারেবল মিষ্টার মারউইন-মেরী স্নেন্স ( Hon'ble Mr. Merwin-Marie Snell) লিখিত স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা বিষয়ক একটী পত্র প্রকাশিত হইল। মাষ্টার মহাশয় সেই তারিখের ‘ষ্টেটসম্যান’খানি হাতে করিয়া রামতনু-বন্ধুগলির বাড়ীতে আমার নিকট আসিয়া দেখাইলেন এবং খুব আহলাদ করিতে লাগিলেন। নরেন্দ্রনাথ যে এখন আমেরিকায় গিয়া বিজয়ী হইয়াছে, এই সংবাদে অনেকেই আনন্দ করিতে লাগিলেন; কিন্তু তখনও নরেন্দ্রনাথের নিজের নিকট হইতে কোন পত্র আসে নাই। অবশেষে কয়েকদিন পর, এক রবিবার দুপুরবেলা, আমেরিকা হইতে কয়েকখানি পত্র আসিল। সেই পত্রে সকল বিষয় লেখা ছিল। বিশেষ উল্লেখযােগ্য যে, বাঙ্গালা চিঠিতে নরেন’ বলিয়া স্বাক্ষর ছিল এবং রাখালের প্রতি ব্যঙ্গচ্ছলে ‘দণ্ডবৎ, অষ্টিবৎ’ ইত্যাদি লেখা ছিল। রাখালের প্রতি নরেন্দ্রনাথের কি স্নেহ-ভালবাসা ছিল তাহা এই কয়েকটা কথাতেই প্রকাশ পায়। স্বামিজীর তিরােধানের পর বেলুড় মঠে | | ১৯০২ খৃষ্টাব্দে, জুলাই মাসে, স্বামিজীর দেহত্যাগের প্রায় পনের দিন পরে, আমি কাশ্মীর হইতে বেলুড় মঠে ফিরিয়া আসিলাম। অনেকদিন ভারতবর্ষের বাহিরে থাকায় এবং বেলুড় মঠ নূতন স্থাপিত হওয়ায় আমার পক্ষে সকলই নূতন বলিয়া বােধ