পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I । ৯৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ব্রহ্মানন্দ বলিল, “মঠ-মিশনের নানারকম বিধি-নিয়ম অনুযায়ী কাজ ক’রূতে হয় ; এতে অনেক সময় কাজের প্রতিবন্ধক হয়। আমি বলিলাম, “দেখ, আইন কানুন ভাল, তা মেনে চলাও উচিত; কিন্তু এখন মঠ-মিশনের শৈশব অবস্থা, এত আইন কানুন চলবে না। ব্যক্তিগত প্রভাব-Personal influence আবশ্যক। ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার ক’ঝতে পারলে মঠমিশন স্থায়ীভাবে চলবে। আইন কানুন পরে হবে ; প্রথম অবস্থায় ব্যক্তিগত প্রভাব দরকার।” ব্রহ্মানন্দ বলল, “তুমি ঠিক বলেছ, এইটেই এখন একমাত্র উপায় !” ব্রহ্মানন্দ ঠিক এই পন্থা অনুযায়ী কার্য্য করিতে লাগিল। তাহার ব্যক্তিগত প্রভাব এত অধিক ছিল যে, অপর সকলে তাহার নির্ধারণের উপর প্রতিবাদ করিতে সাহস করে নাই। বলা বাহুল্য তাহার ব্যক্তিগত প্রভাব মঠ ও মিশনের এত বিস্তৃতি লাভের এক প্রধান কারণ। সংঘঠন ও পরিচালনা শক্তি বহুলােক একত্র বাস করিলে ছােটখাট গােলমাল হইয়াই থাকে; কিন্তু ব্রহ্মানন্দের এমন একটা শক্তি ছিল যে, এই সকল ক্ষুদ্র বাগবিতণ্ডা অতি সহজে মিটাইয়া দিত। এইরূপ বহুপ্রকার খিটিমিটি নিত্যই তাহাকে মিটাইতে হইত। অনেক সময় সেগুলি সে হাসিয়া সামান্য বলিয়া উড়াইয়া দিত। সকলেই তাহার নির্ধারণ ও মীমাংসা সন্তুষ্ট হইয়া গ্রহণ করিত।