পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৯৭ স্বামিজীর দেহত্যাগের পর নিবেদিতা (সিষ্টার নিবেদিত) রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিল, মাঝে মাঝে সভায় বক্তৃতা দিতে লাগিল। ইহাতে রামকৃষ্ণ মিশনের বিপদের আশঙ্কা ছিল, এইজন্য ব্রহ্মানন্দ নিবেদিতাকে ডাকাইয়া আনিয়া অনেক বুঝাইয়াছিল, এমন কি তিরস্কারও করিয়াছিল। নিবেদিতা প্রথমে বলিয়াছিল যে, সে রামকৃষ্ণ মিশন ত্যাগ করিয়া স্বতন্ত্রভাবে কাজ করিবে; কিন্তু পরিশেষে সে-সব ভাব পরিত্যাগ করিয়া বালিকা বিদ্যালয় লইয়া, সিষ্টার ক্রীষ্টীনার সহিত মিলিত হইয়া কাজ করিতে লাগিল। অবশ্য, প্রকাশ্যে কোন মতভেদ হয় নাই। এই সব সামান্য ব্যাপারেই বুঝা যায় যে, ব্রহ্মানন্দের কিরূপ অদ্ভুত মস্তিষ্ক, দূরদৃষ্টিপূর্ণ চিন্তা ও পরিচালনা শক্তি ছিল। এইরূপ স্থির ও নিশ্চিত-বুদ্ধি ব্যক্তি জগতে খুব কম দেখিতে পাওয়া যায়। | ব্রহ্মানন্দের ভিতর অদ্ভুত পরিমাণে সংগঠন শক্তি ছিল। এই সংগঠন শক্তি প্রভূত পরিমাণে থাকায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এত শীঘ্র বিস্তৃতি লাভ করিতে পারিয়াছিল। পরিচালনা শক্তিও ( Administrative capacityও) তাহার অসাধারণ ছিল। এক জায়গায় বসিয়া মঠ ও মিশনের সকল কেন্দ্রগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করিতে পারিত ; যতদিন সে জীবিত ছিল ততদিন কোনরূপ বিশৃঙ্খলা আসে নাই। অর্থনীতি-জ্ঞান ব্রহ্মানন্দের আশ্চর্য্যরূপে অর্থনীতির জ্ঞান ছিল। কি করিয়া