পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১০১ লইয়া নানাপ্রকার গণ্ডগােল হইয়াছিল। ১৯০২ খৃষ্টাব্দে, কাশীতে অদ্বৈত আশ্রম স্থাপিত হইল। শিবানন্দ তথায় মােহন্তরূপে রহিল। তখন আশ্রম ভাড়া বাড়ীতে ছিল। কি করিয়া অর্থ সংগ্রহ করিতে হইবে, মন্দির করিতে হইবে— এসব বিষয় দিনরাত চিন্তা করিয়া, যাহা কিছু আবশ্যক ছিল সমস্তই ব্রহ্মানন্দ যােগাড় করিয়া দিয়াছিল। সেবাশ্রমের কল্পনা স্বামিজীর, কিন্তু ব্রহ্মানন্দকে সেই কল্পনা কার্যে পরিণত করিতে হইয়াছিল। অন্যান্য কর্মীরা সম্মুখে কার্য্য করিয়াছিলেন, কিন্তু মস্তিষ্ক ও চিন্তাশক্তি ছিল ব্রহ্মানন্দের। এইরূপে নানাপ্রকার উদ্বেগ সহ্য করিয়া কাশীর অদ্বৈত আশ্রম ও সেবাশ্রম স্থাপিত হয়। ব্রহ্মানন্দ পরেও এই আশ্রম ও সেবাশ্রমের জন্য বিশেষ উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত থাকিত; কিন্তু তাহার এইরূপ ধীশক্তি ছিল যে, বাহিরে কোনরূপ চাঞ্চল্য প্রকাশ না করিয়া সকল প্রকার জটিল সমস্যার সমাধান করিয়া জয়ী হইতে পারিত। ঠিক এইসময়ে কল সেবাশ্রম স্থাপনের প্রয়াস হয়। ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে, জুন মাসে, এই সেবাশ্রম স্থাপিত হয়। কলিকাতার একটী লােক সেবাশ্রম স্থাপনের সাহায্যকল্পে দুই হাজার তিনশত টাকা দান করিয়াছিলেন; কিন্তু কয়েক বৎসর পরেই তাঁহার মত ফিরিয়া যায় এবং তিনি যেন একেবারে অন্য লােক হইলেন। একদিন বৈকাল বেলা ব্রহ্মানন্দ ও আমি ভিতরকার বড় বেঞ্চিতে বসিয়া আছি,