পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

E অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১০৯ আহা সিদ্ধান্ত করিত, তাহা অনেক সময় অতি সুন্দর ও অভ্রান্ত হইত। একজন দ্রুতগতিতে চিন্তা করিতে পারিত এবং বহু ভাবরাশি একসঙ্গে সংযােজিত করিতে পারিত। অপরজন তাহা পারিত না বটে, কিন্তু কার্যকারিভাব বিশেষরূপে দেখাইতে পারিত। স্বামিজীর উদ্ভাবনী শক্তি প্রখর ছিল, ব্রহ্মানন্দের সে সকল কার্যে পরিণত করিবার ক্ষমতা ছিল। স্বামিজীর স্বভাব ছিল এলােমেলো কাজ করা। অনেক সঙ্কল্প স্বামিজী করিয়া গিয়াছিল। ব্রহ্মানন্দ ধীরে ধীরে সেই সঙ্কল্পগুলিকে কার্য্যে পরিণত করিয়াছে। এইরূপ একে অপরকে না হইলে চলিত না। স্বামিজী হইল দার্শনিক, ব্রহ্মানন্দ হইল কর্মী। এইজন্য, উভয়ের জীবন-ইতিহাস সংশ্লিষ্ট ভাবে আলােচনা করা আবশ্যক। কর্মী ও যােগীরূপে এতাবৎকাল ভারতবর্ষে যােগী অর্থে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তি বলিয়া বুঝাইত, কিন্তু স্বামিজী নূতন পন্থা উদ্ভাবন করিল। স্বামিজী নিজে দেখাইল যে, সক্রিয় যােগীও হওয়া যাইতে পারে। ব্রহ্মানন্দ প্রমুখ সকলে সেইভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া সক্রিয় যােগীর ভাবটী জগতে প্রকাশ করিল। ব্রহ্মানন্দ যেরূপ উচ্চমার্গের যােগী ছিল, সেইরূপ উচ্চমার্গের কর্মীও ছিল। উচ্চমার্গের যােগী কিরূপ উচ্চমার্গের কর্মী হইতে পারে, ব্রহ্মানন্দের জীবন হইল তাহার নিদর্শন। স্বামিজী ব্রহ্মানন্দের ।