পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১১৫ নিরঞ্জন মহারাজ একদিন বলিয়াছিল যে, “তখন আমি চাকরী করি, সখ করে দক্ষিণেশ্বরে পরমহংস মশায়ের কাছে গিছলুম। তিনি আমার জিবে কি একটা লিখে দিয়ে জপ ক’রুতে বললেন। আরে বাপরে বাপ! রাত্তিরে চোখ বুজিয়ে দেখি – ঘরে জোনাকী পােকা উড়ছে! মাথার ঘি’র ভেতর জপ চলেছে, গায়ের ভেতর জপ চলেছে, শরীরের প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ভেতর জপ চলেছে। আমার ঘুমবার ইচ্ছে বা অনিচ্ছে সত্ত্বেও জপ চলছে। আমি আফিসে চাকুরী ক’রতুম, এ সব ব্যাপার কিছু জানতুম না, বড় ভয় হলাে— পাগল হয়ে যাব। তিন দিন পরে দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে বললুম, ‘এ কি করেছেন? তখন তিনি হেসে সেই শক্তিটা তুলে নিলেন। বললেন—একে বলে - অজপা জপ।” এই অবস্থাটী খুব উচ্চমার্গের সাধক না হইলে হয় না। ‘অজপা জপ’এ শরীরের প্রত্যেক পরমাণু জপ করিয়া থাকে। জপ করিতে-করিতে ব্রহ্মানন্দের এমন অবস্থা হইয়াছিল যে, তাহার জিহবা, মন ও দেহের প্রত্যেক পরমাণুই জপ করিত। সে ‘অজপা জপ’এর অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছিল। দেহটাকে সে এত পরিবর্তন করিয়াছিল যে, সে সর্বদাই ‘অজপা জপ’এর অবস্থায় থাকিত। সে যে জপময়-তনু হইয়া গিয়াছিল - এ বিষয় দ্বিধা বা সংশয় নাই। সাধারণ লােকের ধারণা যে নিষ্কর্ম্ম হইয়া বসিয়া থাকাকে জপ-ধ্যান বলে। সাধারণ লােকের এ জ্ঞান নাই - শক্তি