পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান আরও গভীর স্তরে অন্তমুখী হইতে থাকে, তখন স্কুল-স্নায়ু হইতে সূক্ষ্ম-স্নায়ুতে শক্তি প্রবেশ করিতে থাকে। এইরূপ নানা প্রতিবন্ধক ও উদ্বেলিত ভাব পরিত্যাগ করিয়া, চিন্তাশক্তি সূক্ষ্ম হইতে সূক্ষ্মতর ও সূক্ষ্মতম কারণ-স্নায়ুতে প্রবেশ করিলে, তখন ভিন্ন ভাব প্রত্যক্ষীভূত হয়। শক্তি যখন স্কুল-স্নায়ু হইতে উদ্ভূত হয়, তখন বহির্জগত বা বহির্জগতের বস্তু সমূহের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক ও দূরত্ব একপ্রকার দেখিতে হয়। ইহাকে বলে ‘স্কুল সম্পর্ক বা ‘স্কুল কম্পন। সাধারণ জগৎ এই স্কুল সম্পর্ক লইয়া নানাপ্রকার বাগবিতণ্ডা করিয়া থাকে; কিন্তু যখন সূক্ষ্ম-স্নায়ু জাগ্রত হয় ও বহির্জগত দৃষ্ট হয়, তখন সম্পর্ক সকল অধিক পরিমাণে বিভিন্ন হইয়া যায় এবং মনীষী ব্যক্তি জগতকে এবং জগতের বিভিন্ন সম্পর্ক সমূহকে অন্যপ্রকার দেখেন। আরও সূ-স্নায়ুতে যাইয়া অতি অন্তরস্থিত স্নায়ুতে শক্তি সঞ্চারিত করিয়া দেখিলে, জগতকে অন্যপ্রকার দেখা যায়। এস্থলে বুঝা আবশ্যক যে, চিৎশক্তি স্কুল-স্নায়ু ত্যাগ করিয়া, যখন অতি সূক্ষ্ম-স্নায়ুতে যায়, তখন সমুদয় বহির্জগত একীভূত হইয়া যায় ; ‘অন্তর’ ও ‘বাহির – এইরূপ কোন শব্দই থাকে না। সমস্তই — সাম্যভাব, সমস্তই - একীভূত ভাব। এই অবস্থা আসিলে আত্মপ্রসারণ - Self-expansion হয়। যেমন নিজের ক্ষুদ্র দেহটীর ভিতর ‘অহং রহিয়াছে, সেইরূপ সৰ্ববস্তুতে ‘অহং বিকাশ পাইতেছে। চলিত কথায়, ইহাকে ‘অহৈতুকী ভালবাসা বা