পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান স্পন্দন মনের উচ্চস্তর হইতে প্রসূত হইয়া চতুর্দিকে প্রধাবিত হয়। এই স্পন্দন – যাহাকে ‘সাম্যম্পন্দন’ বা ‘Rhythmical vibration' বলা হয় – সন্নিকটস্থ বস্তুতে আবদ্ধ থাকে এবং পরে উহা উপযুক্ত অধিকারী পাইলে তাহার ভিতর প্রকাশ পায়। কারণ, নিয়ম হইল - সমজাতীয় স্পন্দন বা প্রকম্পন সমজাতীয় প্রকম্পনকে অনুসরণ করে। আর একটা নিয়ম হইল – স্কুল স্পন্দন হইলে, উহার বিস্তৃতি অল্পদূরব্যাপী হয়; সূক্ষ্ম স্পন্দন হইলে, বিস্তৃতি বহুদূরব্যাপী হয় - Grosser the vibration shorter the range, finer the vibration longer the range. . | দার্শনিক ব্রহ্মানন্দ ব্রহ্মানন্দ গ্রন্থাদি বিশেষ পাঠ করে নাই এবং শাস্ত্রাদির বিষয় কেবলমাত্র শ্রবণ করিয়াছিল; কিন্তু কঠোর তপস্যা করিয়া তাহার ভিতর দার্শনিক চিন্তাসমূহ স্বভাবসিদ্ধরূপে প্রতিফলিত ও প্রতিবিম্বিত হইয়াছিল। আমি অনেক সময় দেখিয়াছি যে, কোন জটিল দার্শনিক মত লইয়া যখন তর্ক-বিতর্ক চলিতেছে, তখন ব্রহ্মানন্দ নিকটে বসিয়া স্থির হইয়া উহা শুনিতে লাগিল এবং নিজে খানিকক্ষণ সেই বিষয় চিন্তা ও ধ্যান করিতে লাগিল। সে যখন দেখিল যে জটিল প্রশ্নটীর দুই মত হইতেছে, তখন সহসা বলিয়া উঠিল, “না, ওটা ঐরকম নয়, ওটা এইরকম হবে। তারপর মনটা এইভাবে উঠবে, এইরকম ।