পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান হইয়া থাকে ; আর, যাহাকে আমরা অতীত ও ভবিষ্যৎ বলিয়া থাকি, তাহা ত কেবলমাত্র বর্তমানের সহিত সম্পর্ক-জ্ঞাপক ? অর্থাৎ বর্তমান হইতে ঘটনাটা কতদূরে সমাহিত হইয়াছিল বা হইবে তাহারই পরিমাপক ? এইজন্যই বর্তমানকে প্রধান বলা হয়। অতীন্দ্রিয় জ্ঞান হইলে অনাবিষ্কৃত অনেক বস্তু সম্বন্ধে অনায়াসেই বলিতে পারা যায়। স্বামিজী বক্তৃতাকালে একবার বলিয়াছিল যে, পূর্ব্বকালে এত দূরবীক্ষণ বা এতপ্রকার যন্ত্র হয় নাই, কিন্তু পূর্ব্বকালের লােকেরা নক্ষত্রাদির বিষয় ও নীহারিকা (Nebula) প্রণালীর বিষয় যাহা কিছু বলিয়াছেন, তাহা সকলই সত্য ও নির্ভুল বলিয়া পরিগণিত হইতেছে। সাধারণ লােকে যাহাকে ‘স্মৃতি’ বা ‘মেধা বলে এবং যাহার এত প্রশংসা করিয়া থাকে, স্নায়ু-বিজ্ঞানে সে সকলের কোন স্থান নাই; কারণ, সমস্তই স্নায়ুর প্রক্রিয়াতে হইয়া থাকে। রাজযােগ হইতেছে এই স্নায়ু-বিজ্ঞানের বিষয়। ইহাতে কোন বস্তু মানিয়া লইবার আবশ্যক নাই এবং ইহাতে আজগুবীও কিছু নাই। সাধারণ লােক অজ্ঞানতা বশতঃ সকল বিষয়ই অলৌকিক বা আজগুবী বলিয়া থাকে। বৈজ্ঞানিক মতে যেরূপ বৃক্ষাদির পরীক্ষা করা হইয়া থাকে, রাজঘােগের দ্বারা নিজ দেহের তদ্রুপ পরীক্ষা করিতে হয়। জপ হইল এই পরীক্ষার প্রধান পন্থা। এইজন্য তাপস রাখাল - ব্রহ্মানন্দ অনবরত জপ করিত। রাজযােগের স্নায়ু-বিজ্ঞানের কথা অনুধাবন করিলে, যােগী ব্রহ্মানন্দের মনােবৃত্তির কিরূপ