পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= । অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৪৯ শরীর বিস্তৃত, প্রসারিত বা পরিবর্ধিত করিতে পারিবেন, তাঁহার প্রতি ভাললােক, সৎলােক ইত্যাদি প্রকারের আখ্যা তত অধিক প্রযােজ্য হইবে। ইহাদেরই বলা হয় অসাধারণ শক্তিসম্পন্ন মানুষ। এইরূপ লােক পৃথিবীর সকল দেশেতেই পাওয়া যায়। এই বিষয়টা আমি একদিন সকালবেলা, মঠের ভিতর দিকের দালানে, বড় বেঞ্চির উত্তরদিকে বসিয়া, কয়েকজন ব্যক্তিকে বুঝাইতেছিলাম। ব্রহ্মানন্দ বেঞ্চির দক্ষিণ কোণটীতে বসিয়াছিল এবং স্থির হইয়া সকল কথা শুনিতেছিল। ব্রহ্মানন্দ সমস্ত শুনিয়া আহলাদ করিয়া বলিতে লাগিল, “ঠিক, ঠিক, এই কথাই ত ঠিক! এই হচ্ছে মানুষের মধ্যে তারতম্য ও মাপকাঠির নিদর্শন!” আমি তাহা শুনিয়া খুব আনন্দিত হইলাম। | শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভিতর এই শক্তিটী বহুবার দেখিয়াছি। সেই সময়কার যাহারা এখনও জীবিত আছেন, তঁাহারও এবিষয় স্পষ্ট করিয়া বলিতে পারিবেন; এই শক্তি আমরা বেশ স্পষ্ট অনুভব করিতাম। স্বামী বিবেকানন্দের ভিতর এই ভাবটী খুব প্রকাশ পাইয়াছিল। দেখিয়াছি, মহাপুরুষ শিবানন্দের শেষজীবনে এই ভাবটা আসিয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের ভিতরও এই ‘আকর্ষণী শক্তি’ অনেকেই দেখিয়াছেন। সিদ্ধ অবস্থায় এইরূপ ‘আকর্ষণী শক্তির বিকাশ হইয়া থাকে। । তাপসের ভাবদেহ সূক্ষা-শরীরের উপরও আর একপ্রকার শরীর আছে, যাহাকে