বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৫৫ বান্ধবদিগের সহিত মেলামেশা করিয়া থাকেন, কিন্তু তাহাদের মনােগঠন ভিন্নপ্রকারের হওয়ায়, তাহারা জগতকে হালকাভাবে দেখিয়া থাকে ;- রঙ্গকৌতুক, বাচালতা ও লঘুপরিহাস হইল এই সকল সাধারণ যুবকদিগের মানসিক গতি বা প্রবৃত্তি। অল্প বয়স হইতেই এই ভাবী মহাপুরুষের জীবন, প্রকৃতরূপে, দুইটা ধারায় বিভক্ত দেখিতে পাওয়া যায়। একদিকে — তাহার বয়সের নবীনতা ও জাগতিক বিষয়ে অনভিজ্ঞতা, অপরদিকে হৃদয়ের কোমলতা, অনুকম্পা ও গভীর চিন্তাকুলতা - কি উপায়ে অসহায়কে সাহায্য ও দুঃখীর দুঃখ লাঘব করিতে পারিবেন। অন্যের প্রতি ভালবাসার জন্য এই গভীর চিন্তা ও কোমলপ্রাণতা, অনেক সময়ই তাঁহার মুখে ঘন বিষাদের ছায়া আনিয়া দিয়া থাকে। ভাবী মহাপুরুষ নিজ মনােভাব অনুযায়ী, স্বাধীনভাবে জগতকে পরিলক্ষ্য করিয়া থাকেন । কিন্তু অপর যুবকগণ সাধারণ বৃত্তিসম্পন্ন হওয়ায়, সর্ববিষয়েই রঙ্গকৌতুক ও চপলতা প্রকাশ করিয়া থাকে। | এইজন্য, বাল্যবন্ধু অবস্থা হইতেই এই দুই যুবক শ্রেণীর ভিতর ক্রমে বেশ একটু প্রভেদ আসিয়া থাকে। ভাবী মহাপুরুষ ব্যক্তি, বাহ্যিকভাবে যদিও তাহার বন্ধু-বান্ধবদিগের সহিত পূর্ব্বকার মত মেলামেশা ও হাস্যকৌতুকাদি করিয়া থাকেন, তথাপি সময় সময় তাহার বিষাদভাব ও গাম্ভীর্যপূর্ণ মুখাবয়ব, বন্ধুদিগের মেলামেশা ও রঙ্গরস উপভােগে বাধা আনিয়া থাকে। অপরদিকে, সঙ্গিগণও এই ভাবী মহাপুরুষ ব্যক্তিকে