১৬২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান পুরানন বাল্যবন্ধু হিসাবে পূর্ব্বকার মত সখ্যভাবে কথা বলিতে লাগিল; তাহার পর, রাস্তার ধারে একটী কেরাসিন তেলের বাক্সের উপর বসিয়া, তাহার হুকোটার জল বদলাইয়া, সাধারণ লােকের মত তামাক খাইতে লাগিল এবং তাহার সহিত বাল্যকালের ন্যায় হাসিতামাসা করিতে লাগিল ও সংসারের সকল কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। দোকানদারটা একটা গেঁজেল ছিল। স্বামিজীর এইরূপ অমায়িক ভাব দেখিয়া সে কাঁদিয়া ফেলিয়া বলিতে লাগিল, “ভাই নরেন, তুই এখন বড়লােক হয়েছিস। তাের এখন কত নাম-যশ। আমি একটা সামান্য লােক, গেঁজেল। তুই যে এখন আমায় চিতে পাবি, এমন আদর করে কথা কইবি, তা আমি ভাবতেও পারি নি। তাই চোখে জল আসছে। একসঙ্গে ছেলেবেলায় কত খেলা করলুম, কিন্তু তুই কত বড় লােক হয়ে গেলি, আর আমি সামান্য গেঁজেল হয়ে রইলুম!” এইরূপ কথাবার্তা হইতেছে, এমন সময় হরিঘােষ স্ট্রীটের অনেক ছেলে পিছনে আসিয়া বলাবলি করিতে লাগিল, “দেখ, এই লােকটা বিবেকানন্দ স্বামী। দেখ, দেখ, একটা কেরাসিন তেলের বাক্সে বসেছে! ঐ গেঁজেলটার হুকোয় তামাক খাচ্ছে, আর ওর সঙ্গে সমানভাবে হেসে হেসে কথা কইচে, আরে ছিঃ।” স্বামিজীর কাণে এসকল কথা যায় নাই; কিন্তু সেই দোকানদারটা স্বামিজীকে বলিল, “দেখ, ভাই নরেন, তুই আমার সঙ্গে কথা কইছিস বলে ছোড়ারা আমাকে