২ অজাতপ শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান। সেন বংশে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন। দ্বিতীয়া পত্নীর একটা কন্যা ও কয়েকটা পুত্রসন্তান হইয়াছিল। বিবাহ বােধ হয় ১৮৮০ বা ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে যুবা রাখালের বিবাহ হয়। কোন্নগরের ডাক্তার ভুবনমােহন মিত্রের কন্যার সহিত বিবাহ হইয়াছিল। কন্যার নাম ছিল বিশ্বেশ্বরী। বিবাহকার্য্য কলিকাতায় হয়, তখন ডাক্তার ভুবনমােহন মিত্র দেহত্যাগ করিয়াছেন। বিবাহ উপলক্ষে আমাদের নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল। ডাক্তার ভুবনমােহন মিত্রের পুত্র মনােমােহন মিত্র রামদাদার মাসতুতো ভাই হওয়ায় মনােমােহনদাদাদের সহিত আমাদের নিকটসম্পর্ক ছিল। রামদাদা আমাদের বাড়ীতে মানুষ হওয়ায় যেন বড় ভাইয়ের মতন ছিল এবং আমরা যেন ছােট ভাই বােন-এক পরিবারভুক্ত ছিলাম। সেইজন্য মনােমমাহনদাদাদের সহিত আমাদের ঘনিষ্ঠতা এবং মেশামিশি ছিল। আমরা তাহাদের সহিতও এক পরিবারভুক্তের ন্যায় ছিলাম, সর্ববিষয়েই নিতান্ত আপনার মত থাকিতাম, বিশেষ কোন প্রভেদ ছিল না। বিশ্বেশ্বরী আমার মেজদিদিকে ‘দিদি বলিয়া ডাকিত এবং নরেন্দ্রনাথকে নরেনদাদা বলিত। বিশ্বেশ্বরীকে আমরা সংক্ষেপে ‘বি’ বলিয়া ডাকিতাম। মনােমােহনদা কোন্নগরের বাস ত্যাগ করিয়া পরে সিমলায় আমাদের বাড়ীর নিকট বাড়ী খরিদ করিয়া বাস করিতে