পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান করিত। Royal Reader'এর (রয়েল রীডার’এর) মত বিলাতী ছাপা কি একখানা ইংরাজী বই ছিল, আমরা বিদ্যাসাগরের স্কুলে পড়িতাম, এইজন্য ঐ বই আমাদের পাঠ্য ছিল না। ঐ ইংরাজী বইয়েতে এক জায়গায় ঘােড়ার একখানি ছবি ছিল এবং কি একটা কবিতা ছিল-Survey the war-like horse, আমি রাখালকে নিতাই এই কবিতাটা পাঠ করিতে শুনিতাম ও তাহাকে ভেঞ্চাইতাম। মােটকথা, তাহার পড়া ছিল, প্রথমে বসিয়া, পরে শুইয়া এবং তাহার পরে ঘুমাইয়া। পড়িতে বসিয়া তাহাকে ঘুমাইতে দেখিয়া আমি একদিন চটিয়া গিয়া বলিয়াছিলাম, “ এ ছোড়ার বাপের যদি কিছু থাকে ত তবে চবে, নইলে পড়াশুনো হবে না। বােকা, ম্যাদাটে ছোড়, পড়তে একটু মন নেই !” পরে বেলুড় মঠে একদিন আমি এই কথা তুলিয়া উপহাস করিয়া বলিয়াছিলাম, “কেমন. আমি ছােট বেলায় মা বলেছিলুম তা ফলো ?” এই বলিয়া দুইজনে হাসিতে লাগিলাম। রাখালের স্কুলের পড়া তেমন সুবিধা হইল না; পরে সে প্রতাপ মজুমদারের কাছে কিছুদিন হােমিওপ্যাথি শিখিয়াছিল, তাহাও ভাল লাগিল না, অল্পদিন পরে ছাড়িয়া দিল। ঘােড়ায় চড। আমাদের একটা টাটু ঘােড়া ছিল। গােড়াটা সাদা, বর্ম্মি ঘােড়া। আমরা তখন তাহাকে ‘পেও ঘােড়া' বলিতাম। ঘােড়াটা বেঁটে, মােটা, থপথপে। স্কুল হইতে আসিয়া বৈকাল