পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান উঠানে চলিয়া যাইলাম। পরে, তাহারা চলিয়া গেলে আমি বলিলাম, “ছেলেটী বাপের পূর্বকীর্তি কিছু জানে না। ওসব পুরানাে কথা তুলে ছেলেটাকে লজ্জিত করা উচিত নয়।” পরমহংসের খাবারের দোকান কলিকাতায় তখন এত খাবারের দোকান ছিল না। সিমলাতে মাত্র দুইটী খাবারের দোকান ছিল। একটা হিন্দুস্থানী সাধু পশ্চিম হইতে আসিয়া সিমলার কয়েক জায়গায় খাবারের দোকান করিলেন। সাধুটীর বেশ বয়স হইয়াছিল, লােকটাও খুব ভাল। তাহার নিয়ম ছিল যে পরিশ্রম না করিয়া, কার্য্য না করিয়া দিয়া, কাহারও অন্ন খাইতেন না। এইজন্য একটা হিন্দুস্থানী হালুইকরকে অবলম্বন করিয়া, তাহার দোকানে সকাল হইতে বৈকাল চারটা পয্যন্ত নানারকম মিষ্টান্ন প্রস্তুত করিয়া দিতেন এবং চারিটা বাজিলে রাস্তার ফুটপাতের উপর মৃগচর্ম্ম, কম্বল ইত্যাদি পাতিয়া একতারা লইয়া ভজন-গান গাহিতেন। কখনও বা যােয়দণ্ডের উপর হাত রাখিয়া নানা শাস্ত্রের বিষয় কথাবার্তা বলিতেন। তাহাকে দর্শন করিতে ও তাহার সহিত কথাবার্তা বলিতে অনেক হিন্দুস্থানা আসিত এবং বাঙ্গালীরাও আসিত। এইজন্য, আমরা সেই সাধুর দোকানটাকে পরমহংসের খাবারের দোকান বলিতাম। তিনিই প্রথম সিমলাতে নানা প্রকার খাবার প্রচলন করিয়াছিলেন। যুব রাখাল বড় নােন্তা-খাবারপ্রিয় ছিল ; হাতে