পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৫ রাখাল হাসিতে হাসিতে বলিল,-“ও ধোঁকা আর কোথাও খাইনি, এখনও যেন জিবে লেগে রয়েছে।” উপস্থিতবুদ্ধি গ্রীষ্মকালে, মধু রায়ের গলিতে রামদাদার বাড়ীর সম্মুখে তিনু কাসারির দাওয়াতে, একবার মনসা পূজা হইল। মনসা ত বিসর্জন হইল, কিন্তু মনসার যে সাপ, সে ত এক ঠাকুর হইয়া বসিল। সাপকে প্রণাম ও স্তবস্তুতি করিলেই ফেঁস করিয়া সিধা হইয়া উঠে এবং পূজা ও নৈবেদ্য দিলেই ধীরে ধীরে নামিয়া যায়। দুইটা অপরিচিত লােক কোথা হইতে আসিয়া সাপের পূজারী হইল। চারিদিক হইতে চিনি, ডাব, আর লালপেড়ে কাপড়ের নৈবেদ্য আসিতে লাগিল। সে এক মহা হুলুস্থুল ব্যাপার ! দিন কতক ব্যবসাটা খুব চলিল। কুস্তিগীর যুবা রাখাল ও নগেন সরকার নামে আর একটী কুস্তিগীর ছেলে, দুইজনে পরামর্শ করিল যে, সাপটাকে ধরিয়া ফেলিতে হইবে। তাহার পর, শনিবার বৈকাল তিনটা আন্দাজ সময়ে, দুই জোয়ান ছেলে দাওয়ার দুইদিকে চাপিয়া বসিল। চারিদিক হইতে লােক চিনি, ডাব, লালপেড়ে কাপড়ের নৈবেদ্য আনিতেছে, গলিতে ঢুক। ভার, এমন ভীড় ! রাখাল ও নগেন সরকার বলিল, “সাপ বাঁদিকে মুখ ফেরায়, ডানদিকে মুখ ফেরাতে পারে না। এই বলিয়া তাহাদের এক জন ডান পার হইতে সাপটাকে ধরিয়া