১৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান। ফেলিল এবং ধরিয়া দেখে যে কাগজের সাপে স্পিং দেওয়া। বিপদ দেখিয়া সেই দুইজন পূজারী বাবাজী গেঁজের ভিতর যে প্রণামীর পয়সা ছিল তাহা ফস্ করিয়া তুলিয়া লইল। রাখাল ও নগেন সরকার চীৎকার করিয়া উঠিল, “মার বেটাদের, মার বেটাদের।” আর সেই দুই পূজারী বাবাজীও “মার বেটাদের, মার বেটাদের” বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে সিংহীদের পুকুর পাড় দিয়া ছুটিয়া পলাইল। তখন সকলেই চীৎকার করিতে লাগিল, “মার বেটাদের, মার বেটাদের ” চিনির নৈবেদ্য রাস্তায় পড়িয়া মৈ মাড়ান হইতে লাগিল, ডাবগুলি ত গড়াগড়ি যাইল, নৈবেদ্যের রেকাবী লােকের হাত হইতে পড়িয়া গেল, কাহার জিনিষ কে লয়, একেবারে দক্ষযজ্ঞ আর কি! পাড়ার লােকেরা বলিতে লাগিল, “এই দুটো ত্রিপও ছোড়ার খুব উপস্থিতবুদ্ধি ! সাপ কোন্ দিকে মুখ ফেরায় তা এরা ঠিক ধরেছে।” সকলেই দুইজনকে বাহবা দিতে লাগিল। | রাখালের এইরূপ উপস্থিতবুদ্ধি ও কার্যকালে কি করা উচিত, তাহা নির্ধারণ করিবার ক্ষমতা বাল্যকালেও যেমন ছিল, পরেও তেমনি ছিল। যখন সে সিদ্ধপুরুষ ব্রহ্মানন্দ হইয়াছিল তখন তাহার এই শক্তি আরও অতি অসাধারণরূপে বিকাশ লাভ করিয়াছিল। এইরূপ উপস্থিতবুদ্ধির দরুণ এবং সামান্য জিনিষেও পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টিশক্তির জন্য সে সর্ববিষয়ে কৃতকার্য্য হইতে পারিয়াছিল। প্রত্যেক জিনিষই সে বিশেষ করিয়া পর্যবেক্ষ
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩২
অবয়ব