তজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ২৩ ছিল না। আমাদের দুই ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল ও জীবনের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, পড়াশুনা করিব, বাপ-কাকার মত উকিল হইব; কিন্তু রাখালের অনিশ্চিত ভাব দেখিয়া আমরা একটু বিরক্ত হইতাম। রামদাদা ও মনােমােহনদাদাও রাখালের উপর বিরক্ত হইয়াছিল ; কারণ সে বিবাহ করিয়াছে, পড়াশুনায় মন নাই এবং বিশেষতঃ, তাহার কাজ করিবারও কোন ইচ্ছা নাই। ভবিষ্যতে রাখাল যে এত উচ্চ অবস্থায় উঠিবে এবং তাহার জীবনের যে এত বিকাশ হইবে-সে সময় আমরা কেহই তাহ বুঝিতে পারি নাই। পরমহংস মহাশয়ের প্রতি আকর্ষণ পরমহংস মহাশয় রামদাদার বা মনােমােহনদাদার বাড়ীতে আসিলে রাখার সাধারণ লােকের মত তাহার নিকট যাইত; কিন্তু ক্রমে ক্রমে অন্য লােক অপেক্ষা রাখাল পরমহংস মহাশয়ের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হইল এবং মাঝে মাঝে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে লাগিল। একদিন দুপুরবেলা, মনােমােহনদাদার বাড়ীর নিকটে একটী বাড়ীতে, রাখাল, আমি ও আর একজন ছেলে উপরকার একটী ঘরে বসিয়াছিলাম। কথাপ্রসঙ্গে পরমহংস মহাশয়ের কথা উঠিল। দেখিলাম, রাখালের পূর্ব ভাব সহসা পরিবর্তিত হইয়া গেল। সে এলােমেলাে হইয়া পড়িল, তাহার চোখ জলে ভরিয়া যাইল
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৯
অবয়ব