পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান। } কেবলমাত্র সাধন-ভজন করিতে লাগিল। গৃহী-ভক্তদিগের মধ্যে গিরিশবাবু, বলরামবাবু, রামদাদা, সুরেশ মিত্র ও অতুল বাবু—এই কয়জনকার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যাইতে পারে। মােট কথা, এক শ্রেণী হইল—প্রবীণ ভক্ত, আর অপর শ্রেণী হইল—“যুবক ভক্ত। যুবকবৃন্দেরা যদিও পূর্বে অল্পবিস্তর সাধনা করিয়াছিল, কিন্তু কাশীপুরের বাগানের সাধনার সহিত তুলনা করিলে পূর্ব সাধনা সামান্য বলিয়া পরিগণিত হয়। নরেন্দ্রনাথ যুবকবৃন্দের অধিনায়ক স্বরূপ হইয়া অধ্যয়ন, সাধন, ভজন-গান ইত্যাদি করিয়া সকলকেই আকৃষ্ট করিয়া রাখিল; তাহারা যে গৃহত্যাগ করিয়া আসিয়া অন্যমার্গে যাইতেছে তখন তাহা কিছুই বুঝিতে পারিল না এবং ইহা ভাবিবার সময়ও তাহাদের ছিল না। এই সময়টায় উপর্যুপরি ত্বরিত। গতিতে এত ঘটনা ঘটিতে লাগিল যে, নিজ নিজ বাড়ী, দরদুয়ার ইত্যাদির কথা কাহারও আর ভাবিবার সময় রহিল না। একদিকে পরমহংস মহাশয়কে সেবাশুশ্রুষা করা, অপরদিকে নিজেদের সাধন-ভজন করা—এইমাত্র ছিল তাহাদের লক্ষ্য। ভক্তগণ উদ্বিগ্ন হইয়া সর্বদাই চিন্তিত—কি হইবে, কি করা উচিত! এই সন্ধিস্থলে যুবকদিগের মন উদ্বেলিত হইল; কারণ তাহারা সকলেই বুঝিতে পারিল যে পরমহংস মহাশয় আর বেশীদিন দেহ রাখিবেন না, যতদিন দেহ আছে সে সময়ের ভিতর নিজেদের সাধন-প্রণালী জানিয়া লওয়া আবশ্যক। অপরদিকে প্রবীণ ভক্তেরা মহা উদ্বেলিত ও উদ্বিগ্ন হইলেন,