পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪০ । অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান রাখাল বাহিরের ছােট ঘরটীতে একটা বালন্দারহােগলার মত একপ্রকার জিনিষের তৈয়ারী মাদুরের—উপর পড়িয়া থাকিত। সে অনবরত ঠোট নাড়িত, জপ করিত। কখন স্থির হইয়া বসিয়া আছে--নির্বাক, নিশ্চল, চক্ষু—অন্তদৃষ্টিপূর্ণ। অনেক সময় দেখিতাম যে চক্ষের কোণে জল আসিয়াছে। কখনও বা শুইয়া রহিয়াছে, কখনও বা কনুই পাতিয়া হাতের উপর মাথা রাখিয়া নিশ্চল, নিস্পন্দ হইয়া রহিয়াছে। তাহার প্রাণের ভিতর কি যেন এক আকুলি বিকুলি ভাব, মুখে কিন্তু একটাও কথা নাই। দেহ যেন এ সময় স্বতন্ত্র হইয়া কোথায় চলিয়া যাইতেছে ; হাত, প, শরীরের বিষয় সে যেন আর স্মরণ রাখিতে পারিতেছে না। এই সময় তাহার মুখের দিকে চাহিলে যেন বুক ফাটিয়া যাইত, প্রাণে বড়ই কষ্ট হইত এবং মনে প্রবল চিন্তাস্রোত আসিত। আমি বারাণ্ডা দিয়া যাতায়াতের সময় তাহাকে নিরীক্ষণ করিতাম। দেখিতাম, যেন বুদ্ধ অশ্বথ বৃক্ষের মূলে বসিয়া কঠোর তপস্যা করিতেছেন ব মহাদেব যেন মহাধ্যানমগ্ন হইয়া তন্ময় হইয়া রহিয়াছেন। তাহার এই সময়কার মুখের ভাব ও দৃষ্টি কোন চিত্রকর অঙ্কিত করিতে পারে না। সে কি জীবন্ত মূর্তি। সাহাকে বলে, যােগেশ্বর যােগমুর্তি', ঠিক যেন সেইটী কায়া ধারণ করিয়াছে। এই সময়কার অবস্থা যাঁহারা বিশেষ করিয়া জানেন তাহারা বুঝিতে পারিবেন যে রাখালের প্রাণের ভিতর কি যন্ত্রণা হইতেছিল, যদিও সে কখনও তাহা মুখ ফুটিয়া বলিত না। বড় মানুষ