পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৪৫ পারে না। যাঁহারা সাধক তাহারা আভাস-ইঙ্গিতে কিঞ্চিৎ মাত্র বুঝিয়া লইবেন; এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যায় না। | “আমাদের রাখাল বেঁচে আছে” বরানগর মঠে থাকার কালে একদিন নরেন্দ্রনাথ কথাপ্রসঙ্গে কৌতুকচ্ছলে মনােমােহনদাদাকে বলিয়াছিল, “তােমাদের রাখাল মরে গেছে,আমাদের রাখাল বেঁচে আছে।” নরেন্দ্রনাথ ইহা এই অর্থে বলিয়াছিল যে, গৃহী রাখাল অন্তর্হিত হইয়াছে এবং সাধু রাখাল আবিভূত হইয়াছে। নরেন্দ্রনাথ খুব স্পর্ধা করিয়া বলিয়াছিল যে, রাখাল আর পূর্বকার মত ন্যাদ-ন্যাদে, ভীত-ভাতে লােক নাই-সাধনমার্গে খুব উন্নতি করিতেছে, প্রকৃত তাপস হইয়াছে । কিন্তু রাখালের আত্মীয়-কুটুম্বের উহা অন্য অর্থে লইয়া মহা গণ্ডগােল করিয়া বলিতে লাগিল, “নরেন বলেছে রাখাল মরে গেছে, এ রকম অমঙ্গলের কথা কি বলে।” এই লইয়া দিন কতক বেশ হৈচৈ পড়িয়াছিল। অবশ্য উহা পরে মিটিয়া গিয়াছিল এবং নরেন্দ্রনাথ তখন অব্যাহতি পায়। এইরূপে রাখালকে লইয়া সামান্য কথাতেও নানা গণ্ডগোল হইত ; কারণ সে স্ত্রী, পুত্র, পিতার বিষয়-সম্পত্তি এবং তাহার আত্মীয়স্বজন সকলই ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইয়া ভিক্ষা করিয়া খায়। পাঠের সময় বরানগর মঠে সকাল বেলা যখন পাঠ আরম্ভ হইত, যুব রাখাল তখন অতি নিবিষ্টমনে পাঠ শুনিত। এইরূপে সে