পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৪৭ তাহার দেখাশুনা করিতে লাগিলাম। সকলের আহারের পর তিনি একাকী আহার করিতে বসিলেন, আমরা দুইজনে কাছে দাড়াইয়া রহিলাম। তরকারি দিয়া ভাত খাইবার পর তিনি দুধের বাটীতে হাত দিয়া এদিক ওদিক চাহিতে লাগিলেন। আমরা দুইজনে কিছু বুঝিতে না পারিয়া একটু সঙ্কুচিত হইয়া সরিয়া দাড়াইলাম। তখন তিনি দুধের বাটিতে একখাচা নুন দিলেন এবং সেই নুন দেওয়া দুধ ভাতের সঙ্গে খাইতে লাগিলেন। গুপ্ত ও আমি মুখ ফিরাইয়া লইলাম। পরে গুপ্ত আমাকে বলিল, “দেখছছ, বুড়াে মিসে, দুধে নুন দিয়ে ভাত খায় ?” এ প্রথা কলিকাতায় প্রচলিত নয়, সেইজন্য গুপ্ত এইরূপ বলিয়াছিল। অনুসন্ধান করিয়া পরে জানিয়াছিলাম যে, তাহাদের দেশে দুধে নুন দিয়া খাইবার প্রথা আছে। আহারান্তে গুপ্ত হারাণচন্দ্র ঘোেষ মহাশয়কে বলিল, “আপনার পুত্র সাধু। আপনিও কেন সাধু হয়ে এখানে থাকুন না ?” তিনি বলিলেন, “ও গুপ্ত ! আমি যে বিভবশালী লােক। আমাকে তেল মাখিয়ে দেবে কে? নাইয়ে দেবে কে ? আমার যে নানারকম আহারের জিনিষ চাই। তােমাদের এ খাওয়া খেয়ে কি থাকতে পারব ? আমার যে অন্য ভাবে থাক! অভ্যাস।” যাইবার সময় তিনি মঠের খরচের দরুণ গুপ্তের হাতে পাঁচটী টাকা দিয়া যান। তিনি আর কোন সময় মঠে আসিয়াছিলেন কিনা আমার স্মরণ নাই।