পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান এইরূপ অনেকক্ষণ ধরিয়া চীৎকার করিয়া ডাকিতে ডাকিতে পদচারণ স্থগিত হইল এবং এক স্থানে স্থির হইয়া দাঁড়াইল। তখন রাখাল ভিতরকার দরজা হইতে ছুটিয়া আসিয়া আমার পার্শ্বে দাঁড়াইল। নরেন্দ্রনাথের দেহতে ধীরে ধীরে মন আসিতে লাগিল। ক্রমে ক্রমে মন কণ্ঠের দিকে আসিল ; তখনও রাখালকে চিনিতে পারিতেছিল না, যেন নূতন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখিতেছে—এইরূপভাবে রাখালের মুখ দেখিতে লাগিল। খানিকক্ষণ পরে রাখালকে চিনিতে পারিয়া অস্পষ্টস্বরে উচ্চারণ করিল, “কে ও রা-খাল, মহিমের কি করবার করে দিস্।” তখন দেহেতে মন আসিয়াছে। রাখাল আশ্বস্ত হইয়া বলিল, “যা হােক, কাজ হয়েছে, নরেনের মনটা দেহতে এসেছে। আর ভয় নেই।” নরেন্দ্রনাথের যে রাখালের প্রতি একান্ত ভালবাসা ছিল এবং রাখালও যে নরেন্দ্রনাথকে একান্ত ভালবাসিত ইহাই তাহার একটী নিদর্শন। উভয়ের মধ্যে কিরূপ অন্তরের ভালবাসা ছিল ইহা হইতে তাহা বেশ বুঝা যায়। । . ব্রহ্মচারিণী ‘বি’ বিশ্বেশ্বরী, রাখাল চলিয়া যাইবার পর হইতে ব্রহ্মচারিণীর মত আচরণ করিতে লাগিল। স্নান করিতে হয় সেইজন্য তাহা করিত, কিন্তু ভাল করিয়া গা ধুইত না। মাথার চুলে তেল দিত না বা চুল বাঁধিত না, চুলটা উড়ি-খুড়ি থাকিত। খাইতে হয়