পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৫৩ সেইজন্য খাইত। কাহারও সহিত কথাবার্তা বা হাসিখুসি করিত না। মাঝে মাঝে সে ছেলেটীর দিকে চাহিয়া থাকিত। মেঝেতে শুইয়া থাকিত এবং জপ করিত। চেহারাটা একেবারে রুগ্ন হইয়া গিয়াছিল, কয়খানি হাড় মাত্র। এই সময় সে একেবারে বিষন্ন হইয়া পড়িল। কারণ, সিমলায় ভাইয়ের বাড়ীতে মা নাই, সেখানে সাধারণতঃ লােকে তাহাকে যত্ন করিত, কিন্তু তাহার যে দারুণ মনঃকষ্ট সে বিষয় কেহ মনােযােগ দিবার ছিল না। সংসারে থাকিলে কাজকর্মও কিছু করিতে হয়, তাহাও তাহাকে অল্প বিস্তর করিতে হইত। শ্বশুর বাড়ীতে সৎশ্বাশুড়ী, সেখানেও সমবয়স্কা অনেকগুলি ছেলেপুলে। বিশ্বেশ্বরীর এইজন্য সেখানেও | বিশেষ যত্ন ছিল না। এই কারণে পৃথিবীতে তাহার জুড়াইবার স্থান ছিল না। আমার ছােট বােনের সহিত তাহার পূর্ব হইতে ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং দুইজনে পূর্বে খুব কথাবার্তা ও হাসিমাস করিত। রাখাল চলিয়া যাইবার পর হইতে তাহার সহিতও দেখা হইলে বিশেষ কথাবার্তা কহিত না। কোন কথা উঠিলে হঠাৎ ফস্ করিয়া কাঁদিয়া ফেলিত। সে নিজেকে যেন জগতে নিরাশ্রয়া বা অনাথার ন্যায় মনে করিত। জগতে তাহার কেহ ছিল না। এক দিন আমার মেজদিদি কোন কার্য্য উপলক্ষে রামদাদার বাড়ীতে গিয়াছিল। বিশ্বেশ্বরী ও মনােমােহনদাদার পরিবারের লােকেরাও সেখানে গিয়াছিল। আমার দিদি বিশ্বেশ্বরীর এইরূপ অবস্থা দেখিয়া বড় দুঃখিত হইয়া, বড় বােন যেমন ছােট বােনকে আদর যত্ন করিয়া কথা কহিয়া