৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান | একদিন সন্ধ্যার সময় নিরঞ্জন মহারাজ ও তুলসী মহারাজ সত্যকে লইয়া রামতনু-বসু-গলির বাড়ীতে আমার মা’র সহিত দেখা করিতে আসিল। মা সম্পর্কে সত্যের দিদিমা হইতেন। রাস্তায় সেই সময় খােয়া ঢালিয়াছিল। আমরা তিনজনে সদর দরজার কাছে দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছিলাম। এমন সময় নিরঞ্জন মহারাজ সত্যকে আদর করিয়া বলিল, “আরে বেটা রাহুল । তাের বাপকে সন্ন্যাসী করেছি, তােকেও বেটা সন্ন্যাসী করে মঠে নিয়ে যাব। তুই বেটা হচ্ছিস্ রাহুল।” অর্থাৎ বুদ্ধদেব সন্ন্যাসী হইয়া যেমন তাহার ছেলে রাহুলকে রাখিয়া গিয়াছিলেন, রাখালও সেইরূপ সন্ন্যাসী হইয়া ছেলেকে রাখিয়া গিয়াছিল। সেইজন্য রাখালের ছেলেকে আদর করিয়া সকলে রাহুল, বলিত। ছেলেটী এই কথা শুনিয়া রাগিয়া গিয়া রাস্তা হইতে খােয় তুলিয়া ছুড়িতে লাগিল। সেত ভারি ক্ষেপিয়া যাইল এবং ফুপাইয়া ফুপাইয়া কঁদিতে লাগিল। অবশেষে আমার মা ভিতর হইতে আসিয়া ছেলেটীকে কোলে লইয়া আদর করেন, তবে ছেলেটী ঠাণ্ডা হয়। বােধ হয় তখন সত্যের বয়স পাঁচ কি ছয় বৎসর হইবে। সম্ভবতঃ, তাহার বাপ ও তাহার মার কথা স্মরণ হওয়াতেই তাহার মনে এইরূপ কষ্ট আসিয়াছিল এবং সেইজন্য সে রাগিয়া গিয়াছিল। | ১৮৯৫ খ্রীষ্টাব্দে, সত্যচরণ দেশে খেলা করিতে করিতে মাটিতে পড়িয়া যায়। মাটিতে একটী খোটা পোঁতা ছিল, খোঁটাটী তাহার বুকে লাগে। তাহা হইতেই তাহার পাঁজরাটা উচু হইয়া
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৭৪
অবয়ব