পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান বরানগর মঠ ও বলরাম বাবুর বাড়ীতে কিছুদিন থাকিয়া যুব রাখাল একজনের সহিত পুরী যাইল। প্রথমে, বলরাম বাবুদের জমিদারী কোঠারে যাইল, সেখানে কিছুদিন থাকিয়া পরে পুরীধাম গিয়াছিল। যুবা রাখাল কখনও কাহারও নিকট কোন বস্তু চাহিয়া লইত না, একপ্রকার ‘অজগরবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছিল। সে নিজের জন্য কোন জিনিষ চাহিত , কিন্তু কোঠারে আবলুস কাঠের গুড়গুড়ির ভাল ফরসী নল তৈয়ার হয় দেখিয়া-নরেন্দ্রনাথের জন্য একটা নল তৈয়ারী করাইয়াছিল, কিন্তু নিজের জন্য নয় ! রাখাল কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলে নরেন্দ্রনাথ সেই নলটী ব্যবহার করিয়াছিল। তখনকার দিনে পুরীতে যাইতে হইলে জাহাজে করিয়া চঁদবালি পর্য্যন্ত গিয়া, পরে গরুর গাড়ী করিয়া যাইতে হইত। কালু’, ‘বেসিন’ ও ‘সি গাল’ নামক তিনখানি জাহাজ যাতায়াত করিত। যুবা রাখল তাহার সঙ্গীটীকে লইয়া চাঁদবালি হইতে গরুর গাড়ী করিয়া যাইতেছিল। তাহারা খানিকদূর গিয়া গরুর গাড়ী হইতে নামিয়া পদব্রজে যাইতে লাগিল। পূর্বে অনেক পথিক রাস্তা দিয়া চলিয়া গিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে কাহারও একখানি দশ টাকার নােট রাস্তার ধারে পড়িয়া গিয়াছিল। সঙ্গীটী সেই নােটখানি তুলিয়া লইবার প্রয়াস করিতেছিল। যুব রাখাল তাহাকে উহা লইতে বিশেষ করিয়া নিষেধ করিতে লাগিল। সঙ্গীটি তর্ক করিতে লাগিল যে, সে নিজের জন্য নােটখানি লইতে পারে, কিন্তু উহা লইলে অপরের উপকার করা যাইতে