পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৬৩ পারে, এইজন্য নােটখানি লওয়া আবশ্যক। যুবা রাখাল সদাসর্বদাই জপ করিত, তখনও সে জপ করিতে করিতে পথ চলিতেছিল। সেইজন্য বিরক্ত হইয়া নিষেধ করিল, “জপ করতে করতে চল, টাকাকড়ির খবর করছো কেন ?” অবশেষে সঙ্গীটী অতি অনিচ্ছায় নােটখানি লইল না। এই সামান্য ঘটনায় দুই ব্যক্তির ভিতর কি যে পার্থক্য ছিল তাহা বুঝা যায়। সঙ্গীটা ভবিষ্যতে একজন সামান্য লােক মাত্র হইয়া জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিল, আর যুবা রাখাল জীবনে এত উচ্চে উঠিল। পুরীতে শ্রীশ্রীজগন্নাথ দর্শন করিয়া রাখাল বিভাের হইয়া কাদিয়াছিল, তাহার ভক্তিভাব উদ্বেলিত হইয়াছিল। নরেন্দ্রনাথ রাখালের জগন্নাথ দর্শন লইয়া বলরাম বাবুর বাড়ীতে এক এক সময় খুব হাসিতামাসা করিত, “কি রে শালা ভীতু, জগন্নাথ দেখতে গিয়ে কেঁদে ফেলি? জগন্নাথের খরতালের মত চোখ দেখে তাের বুঝি ভয় পেল, আর তুই কেঁদে ফেলি ? দেখ, তাের জগন্নাথের এই রকম চোখ-না ?” নরেন্দ্রনাথ। এই বলিয়া মুখভঙ্গী করিয়া ও চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া যুবা রাখালকে লইয়া নানাপ্রকার ঠাট্টা করিত। আবার বলিত, “শাল। ভীতু, মাগের আঁচল ধরে রাত্তিরে পেচ্ছাব ক’রুতে যা, সেইজন্যে বুঝি খরতালের মত চোখ দেখে কেঁদে ফেলি ?” এই সকল হইল ব্যঙ্গ-কৌতুকের কথা, বিদ্রুপের কথা নয়। যাহা হউক, ইহার পর হইতে যুবা রাখালকে ভক্তির জন্য কখনও কঁদিতে দেখি নাই। বােধ হয়, ভবিষ্যতে আর =